বৈরুত: লেবাননের রাজধানী বৈরুতে ইসরায়েলের বিমান হামলায় অন্তত ছয়জন নিহত এবং আটজন আহত হয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় ইসরায়েলের হামলায় লেবাননে নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪৬ জন, আহত হয়েছেন আরও ৮৫ জন। লেবাননের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।
বৃহস্পতিবার (৩ অক্টোবর) সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরার খবরে জানানো হয়, মধ্যরাত থেকে মধ্য বৈরুতে ইসরায়েলি বিমান হামলা শুরু হয়। এদিকে, ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী জানিয়েছে, হিজবুল্লাহ গোষ্ঠী বুধবার (২ অক্টোবর) মধ্যরাতে অন্তত ২৪০টি রকেট নিক্ষেপ করেছে। এতে ইসরায়েলের উত্তরাঞ্চলে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়। ইসরায়েলি বাহিনীর সাথে দক্ষিণ লেবাননে হিজবুল্লাহ যোদ্ধাদের সরাসরি সংঘর্ষ শুরু হয়েছে, যেখানে আটজন ইসরায়েলি সেনা নিহত হয়েছে।
ইসরায়েলি বাহিনীর দাবি, হিজবুল্লাহর রকেটগুলো তিন ধাপে ছোড়া হয় এবং এর বেশির ভাগই ইসরায়েলের আপার গ্যালিলি অঞ্চলে আঘাত হানে। রকেটগুলোর ক্ষয়ক্ষতির বিষয়ে কোনো নির্দিষ্ট তথ্য না পাওয়া গেলেও ইসরায়েলি সূত্র বলছে, বেশিরভাগ রকেট উন্মুক্ত স্থানে পড়েছে।
অন্যদিকে, ইসরায়েল গাজা অঞ্চলেও আক্রমণ জোরদার করেছে। এতে এক এতিমখানাসহ বেশ কিছু আশ্রয়কেন্দ্র এবং স্কুলে হামলার খবর পাওয়া গেছে। এসব হামলায় কয়েক ডজন বেসামরিক নিহত হয়েছে বলে জানা গেছে।
এর আগে, সোমবার (৩০ সেপ্টেম্বর) ইসরায়েল সীমিত আকারে লেবাননে স্থল অভিযান শুরু করে। দক্ষিণ লেবাননে প্যারাট্রুপার এবং কমান্ডো ইউনিটের অভিযান চালানোর সময় ইসরায়েলি বাহিনী হিজবুল্লাহর শক্ত প্রতিরোধের মুখে পড়ে। ইসরায়েলি বাহিনীর ৯৮তম এলিট ডিভিশন এই অভিযানে অংশ নেয়, যারা দুই সপ্তাহ আগেও গাজায় হামাসের বিরুদ্ধে সংঘাতে লিপ্ত ছিল।
ইসরায়েলি বাহিনী দাবি করেছে, লেবাননের গ্রামগুলোতে হিজবুল্লাহ যোদ্ধাদের সুনির্দিষ্ট লক্ষ্যবস্তু ধ্বংস করার জন্য স্থল ও বিমান বাহিনীর সমন্বয়ে অভিযান চালানো হচ্ছে। ইসরায়েল এই যোদ্ধাদের উত্তর ইসরায়েলের জন্য তাৎক্ষণিক হুমকি হিসেবে বিবেচনা করছে।
এই সংঘাতের ফলে মধ্যপ্রাচ্যে উত্তেজনা চরমে পৌঁছেছে এবং আঞ্চলিক নিরাপত্তা সংকট আরও ঘনীভূত হচ্ছে।