জেরুজালেম, ২ অক্টোবর ২০২৪: ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলার মুখে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু তার নিরাপত্তা মন্ত্রিসভাসহ একটি ভূগর্ভস্থ বাংকারে আশ্রয় নিয়েছেন এবং সেখানেই জরুরি বৈঠক করেন। বৈঠক শেষে নেতানিয়াহু ইরানকে কঠোর হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছেন, ইসরায়েলে হামলার জন্য তাদের চড়া মূল্য দিতে হবে।
আলজাজিরার প্রতিবেদন অনুযায়ী, ইরানের হামলার কয়েক ঘণ্টা পর নেতানিয়াহু প্রথমবারের মতো আনুষ্ঠানিক বক্তব্য দেন। তিনি বলেন, “ইরান বড় ভুল করেছে এবং এর জন্য চড়া মূল্য দিতে হবে। ইসরায়েল মধ্যপ্রাচ্যের যেকোনো স্থানে তার শত্রুদের আঘাত করবে; তা গাজা, লেবানন, ইরান, ইরাক, সিরিয়া কিংবা ইয়েমেন—যেখানেই হোক।”
নেতানিয়াহু আরও বলেন, ইসরায়েল তার আঘাত পাল্টা দিতে প্রস্তুত এবং তা হবে তাদের নির্বাচিত সময় ও স্থানে। ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়াভ গ্যালান্টও ইরানের উপর পাল্টা হামলার সম্ভাবনার কথা উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, “গত এক বছরে ইরান কোনো শিক্ষা নেয়নি, এবার তাদের জবাব দেয়া হবে।”
মঙ্গলবার, ১ অক্টোবর ইরান ইসরায়েলি ভূখণ্ড লক্ষ্য করে প্রায় ১৮০টি ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করে। হামলার ফলে কোনো হতাহতের খবর না পাওয়া গেলেও, ইসরায়েল জরুরি অবস্থা ঘোষণা করে এবং নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করে। লেবানন ও গাজার উপর ইসরায়েলি বাহিনীর চলমান আক্রমণের প্রেক্ষাপটে এই হামলা চালিয়েছে ইরান। ইসরায়েলি বাহিনীর লেবাননে স্থল অভিযান এবং ব্যাপক বিমান হামলায় ইতিমধ্যেই ৯৫ জন নিহত হয়েছেন। হিজবুল্লাহর প্রধান হাসান নাসরুল্লাহও এই হামলায় নিহত হয়েছেন বলে জানা গেছে।
ইরান ও ইসরায়েলের চলমান সংঘাত মধ্যপ্রাচ্যের স্থিতিশীলতাকে আরও অস্থিতিশীল করে তুলছে। ইসরায়েলিরা দেশব্যাপী নিরাপত্তা ব্যবস্থা শক্তিশালী করেছে এবং যেকোনো সম্ভাব্য আক্রমণের জন্য প্রস্তুত আছে।