বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, শেখ হাসিনা পালালেও দেশের সংকট কাটেনি। জনগণ বিশ্বাস করে, অবাধ নির্বাচনের মাধ্যমে গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা করতে হবে। তিনি দ্রুত একটি নির্বাচনের উপযোগী পরিবেশ তৈরি করে ভোটাধিকার নিশ্চিত করার আহ্বান জানান।
শুক্রবার বিকেলে গাজীপুরের কাপাসিয়া সরকারি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে বিএনপির স্থায়ী কমিটির প্রয়াত সদস্য ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) হান্নান শাহ্র স্মরণসভায় মির্জা ফখরুল এসব কথা বলেন। তিনি উল্লেখ করেন, “আওয়ামী লীগ এখনও ষড়যন্ত্র করছে এবং দেশের রাজনৈতিক পরিবেশ অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করছে। দুর্গাপূজা উপলক্ষে বিভিন্ন ধরনের অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টির পরিকল্পনা করা হতে পারে। আমাদের হিন্দু সম্প্রদায়ের ভাইয়েরা এ দেশের নাগরিক, এবং আমরা ঐক্যবদ্ধভাবে যে কোনো পরিস্থিতি মোকাবিলা করব।”
বিএনপি মহাসচিব আরও বলেন, “জনগণ আর কোনো তালবাহানা সহ্য করবে না। যত দ্রুত সম্ভব, গণতান্ত্রিক পন্থায় একটি অবাধ নির্বাচন আয়োজনের ব্যবস্থা করতে হবে। তারেক রহমানকে দেশে ফেরার সুযোগ দিতে হবে, এবং বিএনপি নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে দায়ের করা সব মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার করতে হবে।”
আওয়ামী লীগ সরকারের বিরুদ্ধে কঠোর সমালোচনা করে মির্জা ফখরুল বলেন, “তারা গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে ধ্বংস করেছে এবং প্রশাসন, বিচার বিভাগ ও অর্থনৈতিক ক্ষেত্রগুলোকে নিজেদের নিয়ন্ত্রণে রেখেছে। তারা ভেবেছিল, সারাজীবন ক্ষমতায় থাকবে। কিন্তু জনগণের প্রতিরোধ এবং ছাত্র-জনতার আন্দোলনে তারা ক্ষমতা হারাতে বাধ্য হবে।”
তিনি আরও যোগ করেন, “যারা খালেদা জিয়াকে মিথ্যা মামলায় কারাগারে পাঠিয়েছিল, তারাই এখন দুর্নীতির দায়ে কারাগারে যাচ্ছে।” গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় প্রয়োজনে আবারও রাজপথে আন্দোলনের ঘোষণা দেন বিএনপি মহাসচিব।