বরিশালের পোর্ট রোড, যা একসময় ইলিশের মোকাম হিসেবে পরিচিত ছিল, এখন সেখানে সাগরের ইলিশের দেখা মেলে না। নদীর ইলিশ দিয়ে চালানো হচ্ছে মোকাম, যা পর্যাপ্ত না হওয়ায় ইলিশের দাম চড়া। ভোলার মেঘনা নদীর জেলে জামাল ও রফিক জানিয়েছেন, বেশির ভাগ সাগরের ইলিশ স্থানীয় মোকামে না আসার কারণ হলো সেগুলো সাগরেই ভারতীয় জেলেদের কাছে বিক্রি হয়ে যাচ্ছে।
জেলে রফিক মোবাইল কলের মাধ্যমে সরাসরি সাগরে থাকা অন্য এক জেলের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। তিনি জানান, সাগরে পাওয়া ইলিশ সেখানেই ভারতের জেলেদের কাছে বিক্রি করা হচ্ছে কারণ তাদের কাছ থেকে দাম নিয়ে দরদাম করতে হয় না এবং মহাজনও এতে খুশি। ফলে, পোর্ট রোডের বাজারে ইলিশের সরবরাহ কমে যাচ্ছে, যা সরাসরি প্রভাব ফেলছে সাধারণ মানুষের ক্রয়ক্ষমতার ওপর।
পোর্ট রোডের আড়তদার জহির সিকদার জানান, ভারতীয় জেলেরা বাংলাদেশের নিষেধাজ্ঞার সুবিধা নিয়ে অত্যাধুনিক জাল দিয়ে ইলিশ ধরছে, যার ফলে ইলিশের সংকট বাড়ছে। নিষেধাজ্ঞার সময়সীমা নিয়ে ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে সমন্বয় না থাকায় ভারতীয় জেলেরা সুবিধা নিচ্ছে।
বাজারে ইলিশের দামও উল্লেখযোগ্য হারে বেড়েছে। বরিশালের পাইকারি বাজারে এক কেজি ওজনের ইলিশের মণ বিক্রি হচ্ছে ৬৫ হাজার টাকা দরে, যা মধ্যবিত্তের নাগালের বাইরে চলে যাচ্ছে।
বরিশাল বিভাগীয় মৎস্য অফিসের উপপরিচালক নৃপেন্দনাথ বিশ্বাস জানিয়েছেন, ইলিশ সংকটের পেছনে পরিবেশগত কারণও রয়েছে। সাগর থেকে ইলিশ ভারতীয়দের কাছে বিক্রি বন্ধে শিগগিরই পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলে তিনি আশ্বাস দেন।