বেক্সিমকো গ্রুপের ভাইস চেয়ারম্যান সালমান এফ রহমানের বিরুদ্ধে অর্থ পাচারের অভিযোগে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) ১৭টি মামলা করেছে। এই মামলায় সালমান এফ রহমান ছাড়াও তার ছেলে, ভাই, ভাতিজাসহ ২৪ জন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তাকে অভিযুক্ত করা হয়েছে। মামলায় অভিযোগ আনা হয়েছে যে, রপ্তানির আড়ালে প্রায় ১ হাজার কোটি টাকা (৮৩ মিলিয়ন মার্কিন ডলার) বিদেশে পাচার করা হয়েছে।
সিআইডি সূত্রে জানা যায়, সেপ্টেম্বরের শুরু থেকেই বেক্সিমকোর কর্মকর্তারা আত্মগোপনে আছেন। সালমানের দুই ছেলে ও বড় ভাইও বর্তমানে দেশের বাইরে অবস্থান করছেন। অর্থ পাচারের তদন্তের স্বার্থে তাদের গ্রেফতার ও জিজ্ঞাসাবাদের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। সালমান এফ রহমান বর্তমানে অন্য একটি মামলায় গ্রেফতার আছেন। এছাড়াও তার বিরুদ্ধে আরও বেশ কয়েকটি মামলা রয়েছে।
মতিঝিল থানায় দায়ের করা মামলায় জানানো হয়, বেক্সিমকোর বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ২০২১ থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত মোট ৮৩ মিলিয়ন মার্কিন ডলার বিদেশে পাচার করেছে। এসব প্রতিষ্ঠানের রপ্তানিমূল্য ৪ মাসের মধ্যে দেশে ফেরত আনার বাধ্যবাধকতা থাকলেও তা মানা হয়নি। রপ্তানি করা পণ্যের বেশিরভাগই সালমানের ছেলে ও ভাতিজার যৌথ মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠানের নামে শারজাহ, সংযুক্ত আরব আমিরাত এবং সৌদি আরবে পাঠানো হয়।
সিআইডি আরও জানিয়েছে, বেক্সিমকোর বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের নামে প্রায় ৩৩ হাজার ৪৭০ কোটি টাকা ঋণ নিয়ে বিদেশে পাচার এবং অন্যান্য আর্থিক অনিয়মের অভিযোগে পৃথক অনুসন্ধান চলছে।