বাংলাদেশ রেফারেন্স ইনস্টিটিউট ফর কেমিক্যাল মেজারমেন্টসের (বিআরআইসিএম) প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা মালা খান সম্প্রতি তার অফিসের ভেতরে থাকা আলোচিত ‘গোপন কক্ষ’ নিয়ে মুখ খুলেছেন। তিনি দাবি করেছেন, এই কক্ষটি আসলে গোপন ছিল না এবং অফিসের সবাই এর সম্পর্কে জানতেন। মালা খান তার বিরুদ্ধে তোলা বিভিন্ন অভিযোগকে মিথ্যা ও বানোয়াট হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন এবং এর মাধ্যমে তাকে অপদস্ত করার প্রচেষ্টা করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন।
সম্প্রতি সংবাদমাধ্যমে মালা খানের অফিসে একটি বিশেষভাবে তৈরি কক্ষ থাকার খবর প্রকাশিত হলে তা নিয়ে আলোচনা শুরু হয়। মালা খান জানান, এই কক্ষটি আসলে গোপন ছিল না এবং এটি নিয়ে অফিসের অন্যান্য সদস্যদের আগে থেকেই ধারণা ছিল। তিনি বলেন, “আমার বিরুদ্ধে গোপন কক্ষ থাকার অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা এবং উদ্দেশ্যমূলক। অফিসের কর্মীরা কক্ষটির বিষয়ে আগেই জানত, কিন্তু এখন এটিকে ‘গোপন কক্ষ’ বলে প্রচার করা হচ্ছে আমাকে হেয় করার উদ্দেশ্যে।”
তিনি আরও বলেন, কিছুদিন অফিসে অনুপস্থিত থাকার কারণে তার বিরুদ্ধে এই অভিযোগ তোলা হয়েছে এবং তার বিরুদ্ধে মন্ত্রণালয়ে অভিযোগ দাখিল করা হয়েছে। তবে তিনি দাবি করেন, কোনো ধরনের অনুমতি ছাড়াই আইনগত পদক্ষেপ নেওয়া সম্ভব নয়।
মালা খান টাঙ্গাইলের ভূঞাপুর উপজেলার অলোয়া ইউনিয়নের নিকলা মহাব্বত গ্রামের মেয়ে। তার বাবা আবুল ফজল খান ছিলেন সরকারি চাকরিজীবী, যার সুবাদে মালা খান ঢাকায় বড় হন এবং পড়াশোনা করেন। তিনি একজন সৎ ও নিবেদিতপ্রাণ বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা হিসেবে পরিচিত, যদিও সাম্প্রতিক কিছু অভিযোগ তার ইমেজে কালিমা লেপেছে।
মালা খানের তিন মেয়ে রয়েছে, যাদের মধ্যে দুইজন কানাডায় পড়াশোনা করছেন। তার স্বামী মোস্তফা আনোয়ারও একজন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ছিলেন এবং বর্তমানে তিনি দুই মেয়ের সঙ্গে কানাডায় বসবাস করছেন। যদিও গুঞ্জন রয়েছে যে, মালা খান কানাডায় একটি বাড়ি কিনেছেন, তবে এই তথ্য নিশ্চিত করা যায়নি।
মালা খানের বিরুদ্ধে পিএইচডি ডিগ্রি জালিয়াতির অভিযোগও উঠেছে। ২০১৫ সালে একটি জাতীয় দৈনিকে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছিল যে, মালা খান পিএইচডি ডিগ্রি অর্জনের জন্য একটি ভুয়া সনদ ব্যবহার করেছেন। প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, তিনি যেই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পিএইচডি করেছেন, সেটি কোনো অনুমোদিত প্রতিষ্ঠান নয়। পিএইচডি কোর্সের কো-