বিশ্বকাপ বাছাইপর্বে দক্ষিণ আমেরিকার ফুটবল পরাশক্তিদের জন্য ছিল এক হতাশাজনক রাত। কনমেবলের অধীনে দশ দলের হোম-অ্যাওয়ে পদ্ধতির এই লড়াইয়ে পাঁচটি ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয়, যার চারটিতেই হারের তিক্ত স্বাদ পেয়েছে লাতিন আমেরিকার চার পরাশক্তি—আর্জেন্টিনা, ব্রাজিল, চিলি এবং উরুগুয়ে।
মেসিহীন আর্জেন্টিনার পতন
ঘরের মাঠে লিওনেল মেসিহীন আর্জেন্টিনাকে ২-১ গোলে পরাজিত করে কলম্বিয়া। এই হারের ফলে আর্জেন্টিনার টানা ১২ ম্যাচ অপরাজিত থাকার জয়যাত্রা থেমে যায়। কোপা আমেরিকার ফাইনালে হারের প্রতিশোধ নেয় কলম্বিয়া, আর আর্জেন্টিনা পায় ২০২৩ সালের প্রথম হার। লিওনেল স্কালোনির অধীনে এটি ছিল আর্জেন্টিনার ৭৯ ম্যাচে সপ্তম হার।
ব্রাজিলেরও একই পরিণতি
ব্রাজিলও আর্জেন্টিনার মতো প্রতিশোধের শিকার হয় প্যারাগুয়ের বিপক্ষে। কোপা আমেরিকার গ্রুপপর্বে প্যারাগুয়েকে ৪-১ গোলে হারালেও এবার সেই প্যারাগুয়ের মাঠে ১-০ গোলে হেরে যায় পাঁচবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়নরা।
চিলির বিপর্যয়, উরুগুয়ের রক্ষা
সাবেক কোপা আমেরিকা চ্যাম্পিয়ন চিলি বলিভিয়ার কাছে ২-১ গোলে হেরে বসে। র্যাঙ্কিংয়ে সবার নিচে থাকা বলিভিয়া (৮৩তম) চিলিকে (৪৯তম) ঘরের মাঠে হারিয়ে বড় জয় তুলে নেয়।
অন্যদিকে, উরুগুয়ে হার এড়াতে সক্ষম হয়। ভেনেজুয়েলার মাঠে গোলশূন্য ড্র করে তারা, যদিও লুইস সুয়ারেজের বিদায়ের পর এবং নিষেধাজ্ঞার কারণে কয়েকজন তারকা খেলোয়াড়ের অনুপস্থিতিতে বিয়েলসার দলকে সমর্থকরা ড্রটিকেও ভালোভাবে দেখছেন।
ইকুয়েডরের জয়
এই রাতে একমাত্র জয় পাওয়া দল ছিল ইকুয়েডর। তারা পেরুকে ১-০ গোলে পরাজিত করে গুরুত্বপূর্ণ তিন পয়েন্ট তুলে নেয়।
পয়েন্ট টেবিলে পরিবর্তন
অষ্টম রাউন্ড শেষে ১৮ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে রয়েছে আর্জেন্টিনা। কলম্বিয়া ১৬ পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে উঠে এসেছে। এরপর রয়েছে উরুগুয়ে (১৫), ইকুয়েডর (১১), ব্রাজিল (১০), ভেনেজুয়েলা (১০), প্যারাগুয়ে (৯), বলিভিয়া (৯), চিলি (৫) ও পেরু (৫)।
লাতিন আমেরিকার দশ দলের মধ্যে শীর্ষ ছয়টি দল সরাসরি বিশ্বকাপে অংশ নেবে। সপ্তম দলকে প্লে-অফ খেলতে হবে।