বিশ্বজুড়ে আলোচিত বিষয়গুলোর মধ্যে অন্যতম হচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রের আসন্ন প্রেসিডেন্ট নির্বাচন। নানা ইস্যুতে এবারের নির্বাচনটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে। আগামী নভেম্বরে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া এই নির্বাচনে দুই প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী হলেন কমলা হ্যারিস ও ডোনাল্ড ট্রাম্প।
মঙ্গলবার রাত ৯টায় (বাংলাদেশ সময় বুধবার সকাল ৭টায়) প্রথমবারের মত গুরুত্বপূর্ণ টেলিভিশন বিতর্কে মুখোমুখি হন তারা। এবিসি নিউজের আয়োজনে শুরু হওয়া এই বিতর্ক সরাসরি সম্প্রচার করে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক মাধ্যম, যেমন বিবিসি, সিএনএন এবং চ্যানেল ফোর।
বিতর্ক মঞ্চে প্রবেশ করে প্রথমেই ট্রাম্পের দিকে এগিয়ে গিয়ে করমর্দন করেন কমলা। বিতর্কের শুরুতেই কমলা হ্যারিস বক্তব্য রাখতে শুরু করেন। এই দেড় ঘণ্টার বিতর্কে মূলত অর্থনীতি ও অভিবাসন ইস্যু প্রাধান্য পায়। ট্রাম্পের প্রচারশিবির থেকে আগেই ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছিল যে, অর্থনৈতিক সংকট বিশেষত মূল্যস্ফীতি এই বিতর্কের প্রধান বিষয় হতে পারে।
ইউক্রেন ইস্যুতে বিতর্ক তীব্র আকার ধারণ করে। ডোনাল্ড ট্রাম্প বর্তমান প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের ইউক্রেন নীতি নিয়ে কড়া সমালোচনা করলে কমলা পাল্টা জবাব দেন। কমলা বলেন, “পুতিন তোমাকে দুপুরের খাবার হিসেবে খেয়ে ফেলবে,” ইঙ্গিত করে ট্রাম্পের নেতৃত্বের দুর্বলতার দিকে। এছাড়া তিনি উল্লেখ করেন, “তুমি বাইডেনের বিরুদ্ধে লড়াই করছো না, তুমি আমার বিরুদ্ধে লড়াই করছো।”
ইউক্রেন প্রসঙ্গে কমলা আরও বলেন, তার ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে দৃঢ় সম্পর্ক রয়েছে, এবং ন্যাটো মিত্ররা কৃতজ্ঞ যে ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট নন, অন্যথায় পুতিন কিয়েভে বসে ইউরোপের বাকি অংশের দিকে নজর দিতেন। ট্রাম্পকে তিনি আরও কটাক্ষ করে বলেন, পুতিন একজন স্বৈরশাসক, যিনি ট্রাম্পকে দুপুরের খাবার হিসেবে খেয়ে ফেলবেন।
ট্রাম্পও পাল্টা আঘাত করেন, কমলাকে “ইতিহাসের সবচেয়ে বাজে ভাইস প্রেসিডেন্ট” হিসেবে আখ্যায়িত করে এবং দাবি করেন, রুশ আক্রমণের আগে ইউক্রেন ও রাশিয়ার মধ্যে আলোচনা করে যুদ্ধ ঠেকাতে কমলা ব্যর্থ হয়েছেন।
এই বিতর্ককে আগামী ৫ নভেম্বরের নির্বাচনের আগে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্ত হিসেবে দেখা হচ্ছে।