রাশিয়ার গ্যাস উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান নোভাটেকের ‘আর্কটিক এলএনজি-২’ প্রকল্পে যুক্ত থাকার অভিযোগে ভারতের দুটি শিপিং কোম্পানির ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। ইউক্রেন যুদ্ধের প্রেক্ষাপটে রাশিয়ার অর্থনীতি এবং এলএনজি রপ্তানির ওপর চাপ বাড়াতে এই পদক্ষেপ নিয়েছে প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের প্রশাসন।
মার্কিন নিষেধাজ্ঞায় পড়া দুটি ভারতীয় কোম্পানি হলো গোটিক শিপিং কোম্পানি এবং প্লিও এনার্জি কার্গো শিপিং। গোটিক শিপিং কোম্পানির অফিস ভারত ও লাইবেরিয়ায় অবস্থিত, আর প্লিও এনার্জির প্রধান কার্যালয় ভারতে।
৫ সেপ্টেম্বর এক বিবৃতিতে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ম্যাথু মিলার জানান, রাশিয়ার ইউক্রেনের বিরুদ্ধে আগ্রাসনের প্রতিক্রিয়ায় এই নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে। রাশিয়ার যুদ্ধ প্রচেষ্টায় সমর্থন প্রদানকারী এবং বৈশ্বিক জ্বালানি রপ্তানি প্রসারিত করার প্রচেষ্টাকারীদের বিরুদ্ধে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র আরও কঠোর অবস্থান নিয়েছে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
মার্কিন অর্থ দপ্তরের পৃথক এক বিবৃতিতে জানানো হয়, নিষেধাজ্ঞার আওতায় প্রতিষ্ঠান দুটির সম্পত্তি জব্দ করা হবে। তবে প্রতিষ্ঠানগুলোর জাহাজের ক্রুদের নিরাপত্তার জন্য চলতি বছরের ৬ নভেম্বর পর্যন্ত তাদের কার্যক্রম পরিচালনার অনুমতি দেওয়া হয়েছে।
উল্লেখ্য, এর আগে ২০২২ সালের নভেম্বরে যুক্তরাষ্ট্র আর্কটিক এলএনজি-২ প্রকল্পের ওপর সরাসরি নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছিল। এরপর এলএনজি সরঞ্জাম উৎপাদনে জড়িত বেশ কয়েকটি রুশ প্রতিষ্ঠানের ওপরও নিষেধাজ্ঞা আনা হয়। এছাড়া, রাশিয়ার এলএনজি রপ্তানি চালু রাখতে যেসব প্রতিষ্ঠান ট্যাংকার সরবরাহ করছে তাদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নিয়েছে ওয়াশিংটন।