চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে শিপইয়ার্ডে ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় খায়রুল ইসলাম (২১) নামে আরও একজনের মৃত্যু হয়েছে। তার শরীরের ৮০ শতাংশ দগ্ধ ছিল। এ নিয়ে ওই বিস্ফোরণের ঘটনায় দুজনের মৃত্যু হলো। রোববার (৮ সেপ্টেম্বর) রাত ৩টার দিকে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) খাইরুল শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। তার বাড়ি পিরোজপুরের কাউখালী উপজেলার দাশেরকাঠি গ্রামে। খাইরুলের বাবার নাম কামাল শেখ।
হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক তরিকুল ইসলাম খায়রুলের মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, আরও ছয়জন দগ্ধ অবস্থায় চিকিৎসাধীন রয়েছেন এবং তাদের অবস্থাও আশঙ্কাজনক। নিহত খাইরুলের চাচাতো ভাই রাহাত জানান, খাইরুল পুরাতন জাহাজ ভাঙার শ্রমিক হিসেবে কাজ করতেন এবং বিস্ফোরণের সময় গুরুতর আহত হন। পরে তাকে ঢাকায় বার্ন ইনস্টিটিউটে নিয়ে আসা হয়।
চিকিৎসাধীন দগ্ধদের মধ্যে রয়েছেন জাহাঙ্গীর আলম (৭০ শতাংশ দগ্ধ), আবুল কাশেম (৭০ শতাংশ), বরকাতুল্লাহ (৬০ শতাংশ), আনোয়ার হোসেন (২৫ শতাংশ), আল-আমিন (৮০ শতাংশ), এবং হাবিব (৪৫ শতাংশ)। এর মধ্যে আনোয়ার ও হাবিব এইচডিইউতে, বাকি চারজন আইসিইউতে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
এর আগে শনিবার (৭ সেপ্টেম্বর) রাতে আহমেদুল্লাহ (৩৮) নামের একজন শ্রমিকের মৃত্যু হয়। জানা যায়, গত শনিবার দুপুর ১২টার দিকে চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে একটি জাহাজ কাটার সময় এই বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে, যাতে ১২ জন দগ্ধ হন। আটজনকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ঢাকার শেখ হাসিনা বার্ন ইনস্টিটিউটে আনা হয়।