গত ৫ আগস্ট দেশের রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের পর বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ নিয়ে তৈরি হয় ধোঁয়াশা। দেশটির কেন্দ্রীয় ব্যাংকের মুখপাত্র মেজবাউল হক তখন জানিয়েছিলেন, রিজার্ভের বিষয়ে কোনো তথ্য দেওয়া ঝুঁকিপূর্ণ এবং এ বিষয়ে তাৎক্ষণিকভাবে কিছু জানানো সম্ভব নয়।
এরপর, সেই ধোঁয়াশার অবসান ঘটিয়ে বৃহস্পতিবার (৫ সেপ্টেম্বর) বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর প্রকৃত রিজার্ভের পরিমাণ প্রকাশ করেন। যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক থেকে প্রকাশিত বাংলা গণমাধ্যম ‘ঠিকানাতে’ প্রচারিত এক অনুষ্ঠানে তিনি জানান, আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) ডেফিনেশন অনুযায়ী, বর্তমানে বাংলাদেশের প্রকৃত রিজার্ভের পরিমাণ ২০ দশমিক ৫০ বিলিয়ন ডলার।
গভর্নর আরও উল্লেখ করেন, গত এক সপ্তাহে ৩০০ মিলিয়ন ডলার রিজার্ভ বেড়েছে। তিনি জানান, বাংলাদেশ ব্যাংক নতুন ম্যানেজমেন্ট দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে বাজারে কোনো ডলার বিক্রি করেনি; বরং প্রতিদিন ৫০ মিলিয়ন ডলার করে কেনা হচ্ছে রিজার্ভ বাড়ানোর জন্য।
মূল্যস্ফীতি নিয়েও ড. আহসান এইচ মনসুর পরিকল্পনার কথা জানান। তিনি বলেন, আগামী ৫ মাসের মধ্যে মূল্যস্ফীতি একটি সহনীয় পর্যায়ে নামিয়ে আনার লক্ষ্য রয়েছে। প্রাথমিকভাবে মূল্যস্ফীতি ৭ থেকে ৮ শতাংশের মধ্যে আনার চেষ্টা করা হবে এবং এক বছরের মধ্যে এটি ৪ থেকে ৫ শতাংশে নামানোর পরিকল্পনা রয়েছে।
উল্লেখ্য, এতদিন বাংলাদেশ ব্যাংক নিট রিজার্ভের হিসাব প্রকাশ না করলেও আইএমএফের কাছে রিজার্ভের পরিমাণ উল্লেখ করা হতো।