শ্রম অধিকার পরিস্থিতির উন্নয়নে আইন সংশোধনের অগ্রগতি হলেও সামগ্রিকভাবে পরিস্থিতির মানোন্নয়নে এখনও কিছু ঘাটতি রয়ে গেছে। এর আগে, যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশে শ্রম পরিস্থিতি উন্নয়নের জন্য ১১ দফা সুপারিশ করেছিল। কিন্তু এসব সুপারিশ কার্যকরভাবে বাস্তবায়িত না হওয়ায়, আওয়ামী লীগ সরকারের সময় বারবার শ্রম পরিস্থিতির উন্নয়নের তাগিদ দিয়েছিল যুক্তরাষ্ট্র, বিশেষ করে বিনিয়োগ ও আর্থিক সহযোগিতার ক্ষেত্রে।
বিশ্লেষকদের মতে, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার যদি শ্রম পরিস্থিতি উন্নয়নের বিষয়টি দ্রুত সমাধান করতে পারে, তাহলে শুধুমাত্র যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গেই নয়, ইউরোপের সঙ্গেও বাংলাদেশের অর্থনৈতিক সম্পর্ক উন্নয়নে একটি বড় পদক্ষেপ নেওয়া সম্ভব হবে। বর্তমান প্রেক্ষাপটে এই ইস্যুটি অত্যন্ত সংবেদনশীল। দুই পক্ষের মধ্যে আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে একটি সমাধান আসতে পারে, এবং সরকারকে বোঝাতে হবে যে তারা শ্রম অধিকার পরিস্থিতি উন্নয়নে যথেষ্ট চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে এবং তা অব্যাহত রাখবে।
এই প্রসঙ্গে জানতে চাইলে যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশের সাবেক রাষ্ট্রদূত ড. হুমায়ুন কবির বলেন, “যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধিদলের অগ্রাধিকার থাকবে আর্থিক ও অর্থনৈতিক সহযোগিতায়। বাংলাদেশের অর্থনীতি বর্তমানে জটিল পর্যায়ে রয়েছে, এবং আমাদের জরুরি ভিত্তিতে সহযোগিতা প্রয়োজন। মার্কিন ডেভেলপমেন্ট ফাইন্যান্স করপোরেশন (ডিএফসি) থেকে বাংলাদেশ কোনো সহায়তা পায় না, যা আমাদের উন্নয়ন সম্পর্কিত খাতগুলোতে প্রভাব ফেলছে। ডিএফসি যদি বাংলাদেশের জন্য উন্মুক্ত হয়, তাহলে বিলিয়ন ডলারের বিনিয়োগের সুযোগ তৈরি হবে। তবে, এর পূর্বশর্ত হচ্ছে শ্রম অধিকারের উন্নতি।”
ড. কবির আরও বলেন, “যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশে উন্নয়ন সহযোগী হতে আগ্রহী। কিন্তু শ্রম অধিকার পরিস্থিতির জটিলতা রয়ে গেছে। মার্কিন প্রতিনিধিদলের সফরে বিনিয়োগের বিষয়টি প্রাধান্য পাবে, তবে আমাদের শ্রম অধিকারের জায়গায় আরও অগ্রগতি করতে হবে। কিছু কাজ ইতিমধ্যে হয়েছে, তবে যুক্তরাষ্ট্রের প্রত্যাশিত মানে আমরা এখনও পৌঁছাতে পারিনি।”