ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন প্রকল্পে কনসালটেন্সি কাজের সঙ্গে জড়িয়ে ছিল একটি প্রতিষ্ঠান—সাইটেক কনসাল্টিং অ্যান্ড সল্যুশন। প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক ছিলেন সাবেক মন্ত্রী ইয়াফেস ওসমানের ছেলে এশরার ওসমান সুমিত। মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে পরামর্শক হিসেবে কাজ করেছে এই প্রতিষ্ঠানটি, যা মন্ত্রণালয়ের জন্য খরচ হয়েছে শত শত কোটি টাকা। অভিযোগ রয়েছে, সুমিতের নেতৃত্বে একটি সিন্ডিকেট পুরো মন্ত্রণালয়কে নিয়ন্ত্রণ করেছে।
প্রাপ্ত তথ্যে জানা যায়, সাইটেক কনসাল্টিং অ্যান্ড সল্যুশনের চেয়ারম্যান ছিলেন ড. সামীরুজ্জামান সমির এবং ব্যবস্থাপনা পরিচালক সুমিত। মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন প্রকল্পের কাজে সাইটেক ছাড়া অন্য কোনো প্রতিষ্ঠান কাজ করার সুযোগ পেত না। এমনকি মন্ত্রণালয়ে কোনো ফাইল অনুমোদন না হওয়ার বিষয়েও সিন্ডিকেটের কথা শোনা গেছে।
উল্লেখযোগ্য কিছু প্রকল্পের মধ্যে রয়েছে বিজ্ঞান ও শিল্প গবেষণা পরিষদের জিনোমিক গবেষণাগার স্থাপন প্রকল্প, যার পরামর্শক ফি ছিল প্রায় ৫ কোটি টাকা। এছাড়া ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব বায়োটেকনোলজির সেন্টার ফর নেক্সট জেনারেশন সিকোয়েন্সিং অ্যান্ড অ্যানালাইটিকস স্থাপন প্রকল্পেও প্রতিষ্ঠানটি কাজ করেছে। এসব প্রকল্পে সুমিতের প্রতিষ্ঠান শত কোটি টাকার বেশি ফি গ্রহণ করেছে বলে জানা গেছে।
তৎকালীন মন্ত্রী ইয়াফেস ওসমান এই বিষয়ে দাবি করেন, তার ছেলে সুমিত কোনো আর্থিক পারিশ্রমিক ছাড়াই দেশের উন্নয়নমূলক কাজে সহযোগিতা করেছেন। তবে প্রকল্পগুলোর কাজের জন্য বিদেশি বিশেষজ্ঞদের ফি দিতে হয়েছে। তিনি এই বিষয়টি নিয়ে ভুল তথ্য প্রকাশ করা হলে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার হুমকিও দেন।
প্রকৌশলী ড. সামীরুজ্জামান সমির বলেন, তিনি দেশের জন্য নিজের মেধা কাজে লাগিয়ে কনসালটেন্সি সার্ভিস দিয়েছেন এবং এটি দেশের মেধাবীদের জন্য এক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে।