ঢাকা, ৩১ আগস্ট ২০২৪: এক সময়ের জনপ্রিয় অভিনেত্রী তারিন জাহান, যিনি ছোট পর্দায় তার অভিনয় দক্ষতার জন্য পরিচিত ছিলেন, এখন রাজনৈতিক অঙ্গনের বিতর্কিত একটি নাম হয়ে উঠেছেন। বিএনপি শাসনামলে জাতীয়তাবাদী সাংস্কৃতিক সংগঠনের (জিসাস) নেত্রী হিসেবে পরিচিত এই অভিনেত্রী আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর দ্রুততার সঙ্গে বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের নেত্রী হয়ে ওঠেন।
তারিন জাহান বিএনপি শাসনামলে রাজনৈতিকভাবে সক্রিয় থাকাকালীন প্রায় সব সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে ডাক পেতেন এবং সেই সময়কার মন্ত্রী-এমপিদের সঙ্গে ছিলো তার ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক। কিন্তু আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর তিনি নিজের রাজনৈতিক অবস্থান বদলাতে শুরু করেন। বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটে যোগ দেওয়ার পর আওয়ামী লীগের বিভিন্ন সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডে সক্রিয় হন এবং দলের উচ্চপর্যায়ে তারিনের উপস্থিতি নিয়মিত হয়ে ওঠে।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সংরক্ষিত মহিলা আসনের এমপি হওয়ার জন্য তারিন জাহানের নাম বেশ আলোচিত হয়। তবে এমপি হওয়ার আকাঙ্ক্ষায় তারিনের বিতর্কিত কৌশল নিয়ে রাজনৈতিক মহলে প্রশ্ন উঠেছে। প্রচলিত কথায় জানা যায়, সরকার দলের একজন মন্ত্রীর সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক স্থাপন করে তিনি রাজনীতিতে আরও সক্রিয় হওয়ার চেষ্টা করেন। এরপর দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণের প্রস্তুতি নিতে শুরু করেন, যদিও শেষ পর্যন্ত এমপি হওয়ার পথে সফলতা পাননি।
তারিন জাহানের এই রাজনৈতিক পল্টি এবং বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন দলের নেতাদের সন্তুষ্ট করার প্রচেষ্টা তাকে একটি বিতর্কিত চরিত্র হিসেবে চিহ্নিত করেছে। তার রাজনীতির এই রূপান্তর এবং বিতর্কিত কৌশলগুলো প্রমাণ করে, ক্ষমতার স্বাদ পেতে কত দ্রুত একজন মানুষ নিজের আদর্শ পরিবর্তন করতে পারেন। তারিনের এই কাজগুলো তাকে সাংস্কৃতিক অঙ্গনের পাশাপাশি রাজনৈতিক অঙ্গনেও একটি বিতর্কিত নাম হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছে।
সমাপ্ত