- সকলের কণ্ঠ প্রতিবেদন, ৩০ আগস্ট ২০২৪ |
গাজীপুরের সদ্য সাবেক পুলিশ সুপার (এসপি) কাজী শফিকুল আলমের বিরুদ্ধে রয়েছে অর্থের বিনিময়ে জমি দখল, বালু ব্যবসা, পোস্টিং বাণিজ্য, মাদক ব্যবসায়ীদের আশ্রয় দেওয়া, ওসিদের কাছ থেকে ঘুষ নেওয়া, এবং ঝুট ব্যবসায় জড়িত থাকার মতো নানা গুরুতর অভিযোগ। তার আমলে পাড়া-মহল্লায় মাদকের বিস্তার ঘটেছে। দুর্নীতি ও ক্ষমতার অপব্যবহারে তিনি ছিলেন অভ্যস্ত।
এসপি শফিকুলের বাড়ি গোপালগঞ্জে, এবং তিনি অতিরিক্ত আইজিপি ও সাবেক এসবি প্রধান মনিরুল ইসলামের ভায়রা ভাই হওয়ায় তিনি অসীম ক্ষমতার অধিকারী ছিলেন। সম্প্রতি তাকে ময়মনসিংহের ডিআইজি অফিসে সংযুক্ত করা হয়েছে, কিন্তু এ ধরনের ক্ষমতার অপব্যবহারকারী ব্যক্তির বিরুদ্ধে দ্রুত কার্যকর তদন্ত শুরু করার জন্য ভুক্তভোগীরা দাবি জানিয়েছেন।
এসপি হিসাবে দায়িত্ব পালনকালে শফিকুল আলম কালীগঞ্জের নাগরী ইউনিয়নের উলুখোলা এলাকায় সাড়ে তিন কোটি টাকা দিয়ে জমি কিনেছেন। তাকে সহযোগিতার জন্য সামনের সারিতে ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সানোয়ার হোসেন ও মিরাজুল ইসলাম। গাজীপুরে দায়িত্ব পালনকালে বিভিন্ন ঘটনায় শফিকুল আলম নেপথ্যে থেকে কাজ করেছেন।
এসপি থাকাকালীন সময়ে গাজীপুরের শালদহ ইকো রিসোর্ট নামে একটি বিনোদন পার্কের জমি দখল এবং সাধারণ মানুষের জমি দখল করতে সহযোগিতা করার অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। একটি ঘটনায় সাংবাদিকের সঙ্গে দুর্ব্যবহার এবং ভুক্তভোগীদের সাহায্য করতে অস্বীকৃতি জানানোরও অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে।
তাছাড়া, ঢাকায় ডিবিতে কর্মরত থাকাকালীন শফিকুল আলমের বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহারের নানা অভিযোগ উঠে আসে। বর্তমানে শফিকুল আলমের বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা ও দুর্নীতি দমন কমিশন থেকে সম্পদের হিসাব নেওয়ার দাবি করা হচ্ছে। কিন্তু এখনো পর্যন্ত তার বিরুদ্ধে কোনো শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।