আজ রাজধানীতে সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩৫ বছর করার দাবিতে ৩৫ এর পক্ষ থেকে একটি স্মারকলিপি প্রদান করা হয়েছে। দীর্ঘদিন ধরে সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩০ বছর নির্ধারিত থাকলেও, সাম্প্রতিক সময়ে এই বয়সসীমা বৃদ্ধির দাবি জোরালো হয়ে উঠেছে।
স্মারকলিপিতে উল্লেখ করা হয়েছে যে, দেশের বর্তমান সামাজিক, অর্থনৈতিক ও শিক্ষাব্যবস্থার প্রেক্ষাপটে বয়সসীমা বৃদ্ধি একটি সময়োপযোগী দাবি। বিশেষ করে বাংলাদেশের উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে সেশনজট এবং শিক্ষার দীর্ঘায়িত সময়ের কারণে শিক্ষার্থীরা ৩০ বছরের মধ্যে চাকরির জন্য প্রস্তুতি নেওয়া এবং আবেদন করার সুযোগ থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। এই পরিস্থিতি বিবেচনায় রেখে বয়সসীমা ৩৫ বছর করার প্রয়োজনীয়তা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে স্মারকলিপিতে দাবি করা হয়।
এছাড়াও স্মারকলিপিতে আরও বলা হয়, অনেক উন্নত দেশে চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩৫ বছর বা তারও বেশি, যা শিক্ষার্থীদের জন্য পর্যাপ্ত প্রস্তুতির সময় দেয়। বাংলাদেশেও একই ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হলে, তরুণ প্রার্থীরা তাদের কর্মজীবনের শুরুতে যথেষ্ট সময় ও সুযোগ পাবেন, যা তাদের কর্মদক্ষতা এবং উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধিতে সহায়ক হবে।
তবে, স্মারকলিপিতে বয়সসীমা বৃদ্ধির পক্ষে যেমন যুক্তি দেওয়া হয়েছে, তেমনি কিছু সতর্কতা অবলম্বনের বিষয়ও উল্লেখ করা হয়েছে। বয়সসীমা বেশি বাড়ালে বয়স্ক প্রার্থীরা বেশি সময় পাবেন, যা তরুণ প্রার্থীদের নিরুৎসাহিত করতে পারে এবং কর্মক্ষেত্রে নতুনত্বের অভাবে উদ্ভাবনে ব্যাঘাত ঘটতে পারে।
সামগ্রিকভাবে, স্মারকলিপিতে দাবি করা হয়েছে যে, দেশের অর্থনৈতিক অবস্থা, শিক্ষাব্যবস্থা, কর্মসংস্থানের সুযোগ এবং কর্মক্ষমতার দীর্ঘায়ু বিবেচনায় নিয়ে চাকরির বয়সসীমা নির্ধারণ করা উচিত। সরকারি এবং বেসরকারি চাকরিতে বয়সসীমার মধ্যে বৈচিত্র্য রাখার প্রস্তাবও স্মারকলিপিতে তুলে ধরা হয়েছে।