বাংলাদেশের ফেনী, নোয়াখালী এবং কুমিল্লা অঞ্চলে টানা ভারি বর্ষণ এবং ভারতের উজান থেকে আসা পানির ঢলে বন্যা পরিস্থিতি তীব্র আকার ধারণ করেছে। বিশেষ করে ফেনীর ফুলগাজী, পরশুরাম, এবং ছাগলনাইয়া উপজেলাগুলোতে বন্যার পরিস্থিতি সবচেয়ে ভয়াবহ আকার নিয়েছে। বন্যার পানিতে তলিয়ে গেছে এসব এলাকার ঘরবাড়ি, রাস্তাঘাট, এবং ফসলি জমি। লাখ লাখ মানুষ পানিবন্দী অবস্থায় দিন কাটাচ্ছেন, বিদ্যুৎবিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে এলাকা এবং মোবাইল নেটওয়ার্কও বন্ধ হয়ে গেছে।
যদিও ভারতকে বাংলাদেশের দীর্ঘদিনের বন্ধু বলে গণ্য করা হয়, কিন্তু কোনো রকম বার্তা ছাড়াই বাঁধ খুলে দিয়ে এমন বিপর্যয় ডেকে আনা নিয়ে বন্ধুত্বের প্রশ্নে তীব্র সমালোচনা হচ্ছে। যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এক পোস্টে উল্লেখ করেন, “পৃথিবীর ইতিহাসে নিকৃষ্টতম গণহত্যাকারী শেখ হাসিনাকে আশ্রয় দিয়ে এবং নোটিশ ছাড়াই ওয়াটার গেইট খুলে দিয়ে ভারতের বাংলাদেশে বন্যা সৃষ্টি করার কাজ বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের সম্পর্কের অবনতির কারণ হতে পারে। এ বিষয়ে বাংলাদেশের জনগণের কাছে স্পষ্ট ব্যাখ্যা দিতে হবে।”
তিনি আরও বলেন, “এই বন্যা পরিকল্পিত দুর্যোগ এবং সম্মিলিতভাবে এই দুর্যোগ মোকাবিলায় সরকার ও জনগণ একসাথে কাজ করবে।” বন্যাদুর্গতদের সহযোগিতায় এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, “লক্ষ্মীপুর, ফেনী ও নোয়াখালীতে বন্যার প্রকোপ বৃদ্ধি পাচ্ছে। আপনারা বন্যা আক্রান্ত মানুষের পাশে দাঁড়ান। ব্যক্তি ও গোষ্ঠী পর্যায় থেকে সংগঠিত হয়ে তাদের পাশে দাঁড়ান।”