জাতিসংঘ জানিয়েছে, বাংলাদেশের সাম্প্রতিক কোটা সংস্কারের দাবিতে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনকে কেন্দ্র করে সৃষ্ট সংঘাতে নিরাপত্তা বাহিনীর বিরুদ্ধে ‘অপ্রয়োজনীয়’ ও ‘অসামঞ্জস্যপূর্ণ’ বলপ্রয়োগের গুরুতর অভিযোগ উঠেছে। এই আন্দোলনের ফলে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ক্ষমতাচ্যুত হন।
৭৬ বছর বয়সী শেখ হাসিনা, যিনি আন্দোলনের চাপে পড়ে ক্ষমতা ছেড়েছেন, গত সপ্তাহে হেলিকপ্টারে করে প্রতিবেশী দেশ ভারতে চলে গেছেন। এর মাধ্যমে তাঁর ১৫ বছরের শাসনের অবসান ঘটে।
জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক হাইকমিশনারের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, নিরাপত্তা বাহিনী সে সময় প্রায়ই শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ ও সহিংসতার ঘটনাগুলোর ক্ষেত্রে নির্বিচারে বল প্রয়োগ করেছে। রাবার বুলেট, সাউন্ড গ্রেনেড, এবং প্রাণঘাতী আগ্নেয়াস্ত্রসহ নানা ধরনের অস্ত্র ব্যবহার করা হয়েছে। গণমাধ্যম ও আন্দোলনকারীদের তথ্য অনুযায়ী, গত ১৬ জুলাই থেকে ১১ আগস্ট পর্যন্ত বিক্ষোভ ও সহিংসতায় অন্তত ৬৫০ জন বাংলাদেশি প্রাণ হারিয়েছেন।
আজ শুক্রবার জেনেভা থেকে প্রকাশিত ‘বাংলাদেশের সাম্প্রতিক বিক্ষোভ ও অস্থিরতা বিষয়ে প্রাথমিক বিশ্লেষণ’ শীর্ষক ১০ পৃষ্ঠার এই প্রতিবেদনে জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক হাইকমিশনার ফলকার টুর্ক বলেন, “বাংলাদেশের এই সন্ধিক্ষণ মানবাধিকার ও আইনের শাসনের ভিত্তিতে একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক সরকার প্রতিষ্ঠার ঐতিহাসিক সুযোগ সৃষ্টি করেছে।”
তিনি আরো বলেন, এই পরিস্থিতি মানবাধিকার লঙ্ঘন ও সংঘাতের জন্য দায়ী ব্যক্তিদের জবাবদিহির প্রয়োজনীয়তার বিষয়টিতে জোর দিচ্ছে।