ইরান পশ্চিমা বিশ্বের পিছু হটার আহ্বান কঠোরভাবে প্রত্যাখ্যান করেছে। দেশটির প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ান গতকাল জানিয়েছেন, ইসরায়েলের ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় তেহরানে অবস্থানরত হামাস নেতা ইসমাইল হানিয়ার হত্যার প্রতিশোধ নেওয়ার অধিকার ইরানের রয়েছে। একই সঙ্গে তিনি যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রীকে স্পষ্ট করে বলেছেন, ইরান এই প্রতিশোধকে বৈধ অধিকার মনে করে এবং ভবিষ্যতে ইসরায়েলি আগ্রাসনকে নিরুৎসাহিত করতে এটিই সঠিক পথ।
ইরানের এই কঠোর অবস্থানের বিপরীতে, যুক্তরাষ্ট্র, ফ্রান্স, জার্মানি, এবং যুক্তরাজ্য তেহরানকে হামলা থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানিয়েছে। ইউরোপীয় নেতারা গাজায় মানবিক সহায়তা পৌঁছানোর বাধা দূর করতে এবং হামাসের হাতে ইসরায়েলি জিম্মিদের মুক্তি দেওয়ার আহ্বান জানান। তবে ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এসব আহ্বানকে রাজনৈতিক যুক্তিহীন এবং আন্তর্জাতিক আইনের পরিপন্থী বলে উল্লেখ করেছে।
এদিকে, ইরান এবং তার মিত্রদের সম্ভাব্য হামলা প্রতিহত করতে ইসরায়েল ও তার মিত্র যুক্তরাষ্ট্র সম্পূর্ণ প্রস্তুত রয়েছে। ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী পাল্টা হামলার ব্যাপক প্রস্তুতি নিয়েছে এবং মার্কিন গোয়েন্দাদের আশঙ্কা, এ সপ্তাহের মধ্যেই ইরান বা তার সমর্থিত সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোর হামলা ঘটতে পারে।
লেবানন থেকে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে হিজবুল্লাহর ড্রোন হামলা চালানোর দাবি করেছে ইসরায়েল। তাদের আয়রন ডোম আকাশ প্রতিরক্ষাব্যবস্থা এ হামলা প্রতিহত করেছে। সামরিক মুখপাত্র ড্যানিয়েল হাগারি লেবাননে বিমান টহল বৃদ্ধি এবং হুমকি অপসারণের লক্ষ্যে চলমান হামলার ঘোষণা দিয়েছেন।
এদিকে, গাজায় যুদ্ধবিরতি প্রতিষ্ঠার জন্য কূটনৈতিক প্রচেষ্টা চলছে। মধ্যস্থতাকারীরা ইসরায়েল ও হামাসকে বৃহস্পতিবার আলোচনায় ফেরার আহ্বান জানিয়েছে, যদিও ইসরায়েল হামাসকে আলোচনায় ফেরার জন্য চাপ অব্যাহত রেখেছে।