বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) সভাপতি কাজী সালাউদ্দিনের বিরুদ্ধে ভারতীয় একটি কোম্পানির সহায়তায় অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগ অনুযায়ী, টুর্নামেন্টের টেলিকাস্টিং যন্ত্রপাতি ভাড়া বাবদ ২ লাখ ৯০ হাজার মার্কিন ডলার ভুয়া খরচ দেখিয়ে ওই টাকা আত্মসাৎ করা হয়। দুর্নীতি, স্বজনপ্রীতি, এবং বিভিন্ন অনিয়মের কারণে বাফুফের নেতৃত্ব দীর্ঘদিন ধরে সমালোচিত। বিশেষ করে কাজী সালাউদ্দিন ও মহিলা কমিটির চেয়ারম্যান মাহফুজা আক্তার কিরনের কর্মকাণ্ড দেশের ফুটবলের সুনাম ক্ষুণ্ণ করেছে। সালাউদ্দিনের দেড় দশকের নেতৃত্বে দেশের ফুটবলের ঐতিহ্য অনেকটাই হারিয়ে গেছে।
বাফুফের আর্থিক অনিয়মের কারণে ফিফা এরই মধ্যে বাফুফের সাধারণ সম্পাদক আবু নাঈম সোহাগকে চার বছরের জন্য নিষিদ্ধ করেছে। এছাড়া সদ্য পদত্যাগ করা সিনিয়র সহসভাপতি আবদুস সালাম মুর্শেদীকেও ১০ লাখ টাকা জরিমানা করেছে ফিফা।
বিভিন্ন সময় জাতীয় দলের সাবেক ফুটবলাররা এবং বাফুফের বর্তমান সহসভাপতিরাও আর্থিক কেলেঙ্কারির অভিযোগ তুলেছেন সালাউদ্দিনের বিরুদ্ধে। এর মধ্যে অন্যতম ছিল ২০১৫ সালের বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপ টুর্নামেন্টের সরাসরি সম্প্রচারের জন্য টেলিকাস্টিং যন্ত্রপাতি ভাড়া করার নামে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ। অভিযোগ অনুযায়ী, চ্যানেল নাইন থেকে পাওয়া প্রচারস্বত্বের অর্থ সালাউদ্দিনের নেতৃত্বে এক বিশেষ মহল আত্মসাৎ করেছে, যেখানে ভারতীয় কোম্পানি রিয়েল ইমপেক্ট প্রাইভেট লিমিটেডের সহায়তা নেওয়া হয়।
গোয়েন্দা সংস্থার প্রতিবেদনে বাফুফের দুর্নীতি এবং নেতৃত্বের ব্যর্থতার বিষয়টি উল্লেখ করা হয়েছে। তবে এখনও পর্যন্ত এই বিষয়ে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। ফুটবলের রুগ্ণ অবস্থার জন্য সংশ্লিষ্টরা বাফুফে সভাপতি সালাউদ্দিনকেই দায়ী করছেন।