ঢাকা, ২৩ আগস্ট ২০২৪:
শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর দেশের ব্যাংকিং খাতে দেখা দিয়েছে এক ধরনের অস্থিরতা। দুর্বল ব্যাংকগুলো থেকে টাকা তুলে তুলনামূলকভাবে ভালো অবস্থানে থাকা ব্যাংকগুলোতে জমা রাখার প্রবণতা বাড়ছে বলে জানা গেছে। এতে ব্যাংকগুলোর মধ্যে আমানত ব্যবস্থাপনায় এক ধরণের বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হয়েছে।
অবশ্য দিনে সর্বোচ্চ তিন লাখ টাকা উত্তোলনের সীমাবদ্ধতার কারণে ব্যাংকগুলোর প্রকৃত আর্থিক দুরবস্থা সম্পূর্ণভাবে প্রকাশ পাচ্ছে না। তবুও, কিছু ব্যাংকের ভল্ট খালি হওয়ার পাশাপাশি, বিপরীত চিত্র হিসেবে কিছু ব্যাংকে টাকা রাখার জায়গার অভাব দেখা দিচ্ছে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকে জমার পরিমাণ বেড়েছে:
গত পাঁচ দিনের মধ্যে বিভিন্ন ব্যাংকের শাখাগুলো বাংলাদেশ ব্যাংকের ভল্টে জমা করেছে মোট দুই হাজার ৫৯৩ কোটি টাকা। এটি ব্যাংকিং খাতে সংকটের অন্যতম উদাহরণ। ব্যাংক কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, প্রতিটি ব্যাংক শাখার ভল্টে একটি নির্দিষ্ট সীমার বেশি টাকা জমা রাখার সুযোগ নেই। সেই সীমা অতিক্রম করলে সেই টাকা বাংলাদেশ ব্যাংক বা সোনালী ব্যাংকের প্রধান শাখায় জমা করতে হয়।
নগদ উত্তোলনের সীমাবদ্ধতা:
সরকার পতনের পর থেকে মানুষ বড় অঙ্কের নগদ টাকা তুলতে পারছে না, কারণ নগদ উত্তোলনের সীমা বেঁধে দেওয়া হয়েছে। এর ফলে অনেকেই নিজের আমানত ব্যাংকে রেখে নিরাপদ অবস্থানে থাকার চেষ্টা করছেন। অন্যদিকে, দুর্নীতি ও অবৈধ উপায়ে অর্জিত অর্থ যারা ঘরে রেখেছিলেন, তারা এখন এসব টাকা ভালো ব্যাংকগুলোতে জমা রাখছেন।
সংক্ষিপ্ত মন্তব্য:
ব্যাংকিং খাতের এই অস্থিরতা এবং আমানতকারীদের নতুন প্রবণতা অর্থনীতিতে আরও জটিলতা সৃষ্টি করতে পারে। বিশেষজ্ঞদের মতে, বর্তমান পরিস্থিতি সামাল দিতে না পারলে ব্যাংকিং খাতের স্থিতিশীলতা মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে।
সাংবাদিক: [আপনার নাম]
প্রকাশক: [প্রকাশনার নাম]
তারিখ: ২৩ আগস্ট ২০২৪