বাংলাদেশের ফেনী, নোয়াখালী, সুনামগঞ্জ, মৌলভীবাজার, হবিগঞ্জ, কুমিল্লা, খাগড়াছড়ি এবং চট্টগ্রামসহ কয়েকটি জেলায় বন্যার পরিস্থিতি ক্রমেই ভয়াবহ রূপ নিচ্ছে। বন্যাদুর্গত এলাকায় ত্রাণ সহায়তার জন্য সরকার নগদ এক কোটি ৮৭ লাখ টাকা, ১৫ হাজার ৯০০ মেট্রিকটন চাল এবং ১৫ হাজার প্যাকেট শুকনা খাবার বরাদ্দ দিয়েছে।
আজ বুধবার (২১ আগস্ট) সচিবালয়ে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব কে এম আলী রেজা এ তথ্য জানান। তিনি বলেন, এই বরাদ্দ ইতোমধ্যেই সংশ্লিষ্ট জেলাগুলোতে পৌঁছে দেওয়া হয়েছে। সেনাবাহিনী এবং নৌবাহিনীর দল ইতোমধ্যে ফেনীতে পৌঁছে উদ্ধার কার্যক্রম শুরু করেছে।
ব্রিফিংয়ে জানানো হয়, আবহাওয়া অধিদপ্তরের পূর্বাভাস অনুযায়ী আগামী ৪৮ ঘণ্টায় দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চল এবং এর তৎসংলগ্ন উজানে মাঝারি থেকে ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। এর ফলে সিলেট, সুনামগঞ্জ, নেত্রকোনা, মৌলভীবাজার এবং হবিগঞ্জ জেলার প্রধান নদীগুলোর পানি আরও বৃদ্ধি পেতে পারে, যা বন্যার পরিস্থিতিকে আরও জটিল করে তুলতে পারে।
অতিরিক্ত সচিব কে এম আলী রেজা আরও জানান, দেশের প্রধান নদীগুলোর মধ্যে কুশিয়ারা, মনু, ধলাই, খোয়াই, মুহুরী, ফেনী এবং হালদা নদীর পানি বর্তমানে বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। বিশেষ করে মৌলভীবাজার ও হবিগঞ্জ জেলার মনু, খোয়াই, ধলাই এবং সারিগোয়াইন নদীর পানি আগামী ২৪ ঘণ্টায় বিপৎসীমার ওপরে থাকতে পারে, যা ওই অঞ্চলের নিম্নাঞ্চলে নতুন করে প্লাবন সৃষ্টি করতে পারে।
তিনি আরও বলেন, বন্যাদুর্গত জেলাগুলোতে ত্রাণ বিতরণ কার্যক্রম পুরোদমে চলছে। জেলা প্রশাসন, সেনাবাহিনী, এবং অন্যান্য স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের সমন্বয়ে স্থানীয় প্রশাসন এই ত্রাণ কার্যক্রম পরিচালনা করছে। মন্ত্রণালয় থেকে তাদের প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
ফেনী জেলা প্রশাসকের প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে যে, ইতোমধ্যেই ৭৮টি আশ্রয়কেন্দ্রে প্রায় এক হাজার ৬০০ জন মানুষ আশ্রয় নিয়েছে। সেনাবাহিনী এবং নৌবাহিনীর দল এই অঞ্চলে উদ্ধার কার্যক্রমে সক্রিয়ভাবে কাজ করছে।