নোয়াখালীতে টানা বৃষ্টি এবং মুহুরী ও ফেনী নদীর পানিতে জেলায় ভয়াবহ বন্যা দেখা দিয়েছে। এতে জেলার ৮টি উপজেলা প্লাবিত হয়েছে এবং প্রায় ২২ লাখ মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন। ইতিমধ্যে ৩৪৫টি আশ্রয়কেন্দ্র স্থাপন করা হয়েছে, যেখানে আশ্রয় নিয়েছে প্রায় ২০ হাজার মানুষ। আবহাওয়ার পূর্বাভাসে আরও বৃষ্টিপাতের শঙ্কা থাকায় পরিস্থিতির আরও অবনতি হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কার্যালয়ের তথ্যমতে, নোয়াখালীর ৮৭টি ইউনিয়ন বন্যায় আক্রান্ত হয়েছে। জেলার বিভিন্ন নিচু এলাকা প্লাবিত হওয়ায় এসব এলাকার বাসিন্দারা সীমাহীন ভোগান্তিতে পড়েছেন। কৃষি জমি, মাছের ঘের, সড়ক ও বাসাবাড়ি বৃষ্টির পানিতে তলিয়ে গেছে। দীর্ঘস্থায়ী জলাবদ্ধতার কারণে স্থানীয় বাসিন্দারা চরম দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন।
আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে বুধবার সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত নোয়াখালীর মাইজদী কোর্টে ১৪৪ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। ভারী বৃষ্টির ফলে ফেনীর মুহুরী, কহুয়া ও সিলোনিয়া নদীর বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ ভেঙে বিভিন্ন জনপদ প্লাবিত হচ্ছে। এ অবস্থায় ফেনী সদর, পরশুরাম, ফুলগাজী, দাগনভূঞা ও ছাগলনাইয়া উপজেলার সাড়ে তিন লাখেরও বেশি মানুষ বিদ্যুৎবিচ্ছিন্ন অবস্থায় রয়েছে। পরিস্থিতির অবনতি হওয়ায় মঙ্গলবার সকালে সোনাগাজী ও দাগনভূঞা উপজেলার কিছু এলাকার বিদ্যুৎ-সংযোগ পুরোপুরি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
বন্যার ফলে ফেনী শহরসহ আশপাশের এলাকাগুলিতে জলাবদ্ধতা দেখা দেওয়ায় চরম দুর্ভোগে পড়েছে স্থানীয় বাসিন্দারা।