প্রকাশিত: ২২ আগস্ট ২০২৪,
বাংলাদেশের রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট পরিবর্তনের পর, অনেক প্রভাবশালী ব্যক্তি প্রাণ বাঁচাতে ভারতে পালানোর চেষ্টা করছেন। এ কাজে মোটা অঙ্কের টাকার বিনিময়ে সহায়তা করছে বাংলাদেশি ও ভারতীয় চক্র। পশ্চিমবঙ্গের সংবাদমাধ্যম আনন্দবাজার জানিয়েছে, এসব অবৈধ অনুপ্রবেশে সহায়তা করা চক্রগুলোকে খুঁজে বের করার জন্য দেশটির সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফ মিশনে নেমেছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের মেহেরপুর উপজেলার কাশারীবাজার থেকে একজন সংসদ সদস্য ফোন করেছিলেন সীমান্তবর্তী কাথুলিবাজারের একটি বাড়িতে। দেশের অশান্ত পরিস্থিতির কারণে তিনি স্ত্রী ও চার সন্তানকে নিয়ে কিছুদিন ভারতে আশ্রয়ের ব্যবস্থা করার অনুরোধ জানান। পরে ওই ব্যক্তি ফোন করেন ভারতের নদীয়ার করিমপুর-২ ব্লকের রাউতবাটি গ্রামে। এর পর আর্থিক লেনদেনের বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। ভারতে যেতে মাথাপিছু খরচ পড়বে এক লাখ রুপি, এবং বিএসএফ ও পুলিশের নজর এড়িয়ে থাকতে মাসে ১০ লাখ রুপি দিতে হবে।
আনন্দবাজারের তথ্য অনুযায়ী, শুধু ওই সংসদ সদস্য নন, বাংলাদেশের বর্তমান পরিস্থিতিতে আরও অনেক প্রভাবশালী ব্যক্তি একই পথে ভারতে প্রবেশের চেষ্টা করছেন। বিএসএফ ইতোমধ্যে বেশ কয়েকজনকে গ্রেপ্তার করেছে এবং আরও চক্রকে আটক করতে অভিযান চলছে। এছাড়া, সাধারণ রাজনৈতিক কর্মীরাও আর্থিক সংগতি অনুযায়ী সীমান্ত পাড়ি দিচ্ছেন।
বিএসএফের নজরদারির বিষয়টি নিয়ে ভারতীয় দালালরা বলেন, সীমান্তরক্ষীদের সঙ্গে তাদের সম্পর্ক ভালো থাকায় কারও আশ্রয়ের বিষয়ে মুখ খোলার সম্ভাবনা নেই। অন্যদিকে, বাংলাদেশের বিজিবিও সীমান্তে নজরদারি বাড়িয়েছে। বিজিবির একজন কর্মকর্তা জানান, যারা বেআইনি কাজে লিপ্ত, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
পশ্চিমবঙ্গের সীমান্তবর্তী গ্রামগুলোর বাসিন্দারা বাংলাদেশি অতিথিদের নিয়ে শঙ্কিত হলেও, বিএসএফের তৎপরতায় এখন পর্যন্ত কোনো উত্তেজনাকর পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়নি।