হাসিনার সরকারের আমলে অনেক কর্মকর্তার পদত্যাগের ঘটনার মধ্যে বিএমডিসির (বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যান্ড ডেন্টাল কাউন্সিল) কার্যক্রম বহাল থাকা নিয়ে উঠেছে প্রশ্ন। যেখানে বিভিন্ন সংস্থা থেকে পদত্যাগের প্রবণতা দেখা যাচ্ছে, সেখানে বিএমডিসির কার্যক্রম কেন অপরিবর্তিত রয়েছে, তা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন সাধারণ জনগণ।
এছাড়া, গত তিন বছরে জুনিয়র ডাক্তারদের বেতন বাড়ানোর প্রতিশ্রুতি দেওয়া হলেও তা বাস্তবায়িত হয়নি। এত প্রতিশ্রুতি সত্ত্বেও, কেন এই বেতন বৃদ্ধি হয়নি, তা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন ডাক্তাররা।
অন্যদিকে, ২০১০ সালে ডিএমএফ, এলএমএফএ, আরএমপি নামের আগে ‘ডক্টর’ বসানোর দাবি মেনে নেওয়া হলেও, এখনও কেন এই দাবি পূরণ হয়নি এবং কেন এখনও তারা প্রাইভেট চেম্বার খুলে প্রাকটিস করছেন, এ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন সংশ্লিষ্টরা।
ডিএমএফদের মধ্যে আলট্রাসনোগ্রাফি করানোর মাধ্যমে সমান অর্থ উপার্জন করার বিষয়টি নিয়ে আলোচনা চলছে। কেন তারা অভিযান চালিয়ে গ্রেফতার হন না, এবং কেন অযোগ্য ব্যক্তি এন্টিবায়োটিক বা হরমোন দিয়ে সাধারণ মানুষকে ঝুঁকিতে ফেলছেন, তা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন চিকিৎসা পেশাজীবীরা।
তারা তাদের দাবি মেনে নেওয়ার জন্য এবার আন্দোলনে নামার ঘোষণা দিয়েছেন, এবং তাদের দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। এক সময় তারা শান্তিপূর্ণ অবস্থানে ছিলেন, কিন্তু এর ফলস্বরূপ কি পেয়েছেন, সেই প্রশ্নের উত্তর এখনও অনিশ্চিত।
এই সব প্রশ্ন ও দাবির প্রতি সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করার জন্য ডাক্তাররা এবার জোরালো দাবি উত্থাপন করেছেন।