সাবহেডলাইন: জুলাই সনদ সংশোধন, সংবিধানে অন্তর্ভুক্তি ও স্বীকৃতি—এই তিন দাবিতে উত্তপ্ত সংসদ ভবন এলাকা
ডেস্ক রিপোর্ট | সকলের কণ্ঠ
তিন দফা দাবিতে সংসদ ভবন এলাকায় প্রবেশ করে জুলাই সনদ স্বাক্ষরের মঞ্চের সামনে অবস্থান নিয়েছেন জুলাই যোদ্ধারা। শুক্রবার (১৭ অক্টোবর) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে তারা সংসদ ভবনের প্রধান ফটক টপকে ভেতরে ঢুকে মঞ্চের সামনে অবস্থান নেন।
জুলাই যোদ্ধাদের তিনটি মূল দাবি হলো—
১️⃣ জুলাই সনদ সংশোধন করতে হবে,
২️⃣ সনদকে স্থায়ীভাবে সংবিধানে অন্তর্ভুক্ত করতে হবে, এবং
৩️⃣ জুলাই যোদ্ধাদের আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি দিতে হবে।
সূত্র জানায়, বৃহস্পতিবার রাত থেকেই জুলাই যোদ্ধারা সংসদ ভবনের মূল ফটকের বাইরে অবস্থান কর্মসূচি পালন করছিলেন। শুক্রবার সকালে হঠাৎ তারা ফটক টপকে ভেতরে ঢুকে মঞ্চের সামনে সাজানো চেয়ারগুলোতে বসে পড়েন। পরে আয়োজক কমিটির এক প্রতিনিধি মাইক হাতে নিয়ে আন্দোলনকারীদের শান্ত হওয়ার অনুরোধ জানান।
খবর পেয়ে দ্রুতই ঘটনাস্থলে পৌঁছে যায় পুলিশের একাধিক টিম। বর্তমানে পুরো সংসদ এলাকা ঘিরে সতর্ক অবস্থানে রয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
অন্যদিকে, আজকের জুলাই সনদ স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকার কথা রয়েছে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা, জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সদস্যবৃন্দ এবং ৩০টি রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিদের।
তবে অনুষ্ঠান ঘিরে নতুন বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) অংশগ্রহণ না করার ঘোষণায়। বৃহস্পতিবার সকালে এক সংবাদ সম্মেলনে দলটির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম বলেন, “আইনি ভিত্তি ও বাস্তবায়ন আদেশ ছাড়া জুলাই সনদে সই করা অর্থহীন।”
এদিকে, ঐকমত্য কমিশন আশাবাদ ব্যক্ত করেছে যে, শেষ পর্যন্ত সব দলই সনদে সই করবে। কমিশনের মেয়াদ শেষ হচ্ছে ৩১ অক্টোবর। তার আগেই তারা জুলাই সনদ বাস্তবায়নের পূর্ণাঙ্গ ও সুস্পষ্ট সুপারিশ অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে উপস্থাপন করবে বলে জানিয়েছে।
তবে জুলাই যোদ্ধাদের অনড় অবস্থান এখন অনুষ্ঠানটির সফলতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে। জনমনে জোরালো আলোচনার জন্ম দিয়েছে—এই পরিস্থিতিতে আদৌ কি জুলাই সনদ স্বাক্ষর অনুষ্ঠান শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন করা সম্ভব হবে?