মা ও নবজাতক সুস্থ, পরিবারে আনন্দের জোয়ার
রাজনীতির মঞ্চে তরুণ নেতৃত্ব হিসেবে ইতিমধ্যেই পরিচিত জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)-এর দক্ষিণাঞ্চলীয় মুখ্য সংগঠক হাসনাত আব্দুল্লাহ এবার জীবনের এক নতুন অধ্যায়ে প্রবেশ করেছেন।
আজ বৃহস্পতিবার (১৬ অক্টোবর) সকালে রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে তাঁর স্ত্রী একটি পুত্রসন্তানের জন্ম দিয়েছেন। মা ও নবজাতক দুজনই সুস্থ আছেন বলে জানিয়েছেন পরিবারের সদস্যরা।
হাসনাত আব্দুল্লাহর ঘরে নতুন অতিথি আগমনের খবরটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ার পরপরই এনসিপি নেতাকর্মীদের মধ্যে আনন্দ ও শুভেচ্ছার জোয়ার বইছে।
দলীয় সূত্রে জানা গেছে, সংগঠনের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতা-কর্মীরা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অভিনন্দন জানাচ্ছেন তরুণ এই সংগঠককে।
গণতান্ত্রিক ছাত্রসংসদ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সিনিয়র যুগ্ম সদস্যসচিব আল আমিন সরকার গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন,
“আমরা অত্যন্ত আনন্দিত। হাসনাত ভাইয়ের ঘরে নতুন অতিথি এসেছে—এটি আমাদের জন্যও সুখবর। মা ও নবজাতক দুজনই সম্পূর্ণ সুস্থ আছেন।”
রাজনীতির পাশাপাশি একাডেমিক জীবনেও হাসনাত ছিলেন মেধাবী শিক্ষার্থী।
তিনি ২০১৬-১৭ শিক্ষাবর্ষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগে ভর্তি হন এবং সেখান থেকে স্নাতক সম্পন্ন করেন।
বিশ্ববিদ্যালয় জীবনের শুরু থেকেই তিনি ছাত্ররাজনীতি, বিতর্ক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডে সক্রিয় ছিলেন।
সহপাঠীরা জানান, হাসনাত সবসময় যুক্তিনিষ্ঠ ও ইতিবাচক রাজনীতিতে বিশ্বাসী।
তিনি বিশ্বাস করেন, তরুণদের রাজনীতি হতে হবে মূল্যবোধ ও আদর্শভিত্তিক, যা সমাজে পরিবর্তন আনতে পারে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সময় থেকেই তিনি জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সঙ্গে যুক্ত হন।
অল্প সময়ের মধ্যেই তাঁর সাংগঠনিক দক্ষতা, দায়িত্ববোধ এবং নেতৃত্বের গুণে তিনি দলের দক্ষিণাঞ্চলীয় মুখ্য সংগঠক পদে নিযুক্ত হন।
দলের এক জ্যেষ্ঠ নেতা বলেন,
“হাসনাতের মধ্যে আমরা দেখি এক নিবেদিতপ্রাণ সংগঠক, যিনি রাজনীতিকে জনসেবার হাতিয়ার হিসেবে দেখেন। তাঁর ব্যক্তিগত জীবনে এমন আনন্দের খবর আমাদের সকলকে উজ্জীবিত করেছে।”
রাজনীতি ও শিক্ষা জীবনের পাশাপাশি এখন পরিবারেও নতুন ভূমিকা পালন করছেন হাসনাত।
দীর্ঘদিনের সহপাঠী ও ঘনিষ্ঠ সঙ্গী তাঁর স্ত্রীও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী ছিলেন।
তারা দুজনই বিশ্ববিদ্যালয় জীবনের শেষ পর্যায়ে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন।
তাদের ঘরে প্রথম সন্তানের আগমনে উভয় পরিবারের সদস্যদের মধ্যে গভীর আনন্দ ছড়িয়ে পড়েছে।
হাসনাতের ঘনিষ্ঠ এক আত্মীয় বলেন,
“আমরা সবাই খুব খুশি। ওরা দুজনেই জীবনে অনেক সংগ্রাম করেছে। আল্লাহ তাদের ঘরে নতুন আলো এনেছেন।”
নবজাতকের খবর প্রকাশের পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এবং হ্যাশট্যাগে শুভেচ্ছার ঢেউ লক্ষ্য করা গেছে।
দলীয় নেতা-কর্মী, বিশ্ববিদ্যালয়ের সহপাঠী, এমনকি দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের রাজনীতিকরাও হাসনাতকে অভিনন্দন জানিয়ে স্ট্যাটাস দিচ্ছেন।
একজন এনসিপি কর্মী লিখেছেন,
“আমাদের তরুণ নেতার জীবনে নতুন সূচনা। আল্লাহ শিশুটিকে সুস্থ ও সফল জীবন দান করুন।”
আরেকজন শিক্ষার্থী লেখেন,
“হাসনাত ভাইয়ের মানবিক রাজনীতি যেমন অনুপ্রেরণাদায়ক, তেমনি তাঁর পারিবারিক জীবনের এই আনন্দ আমাদেরও ছুঁয়ে গেছে।”
রাজনীতিতে যেখানে প্রায়ই কৌশল ও ক্ষমতার প্রতিযোগিতা দেখা যায়, সেখানে হাসনাত আব্দুল্লাহ নিজেকে প্রমাণ করেছেন এক মানবিক ও সৃজনশীল নেতা হিসেবে।
তিনি প্রায়ই তরুণদের উদ্বুদ্ধ করেন নৈতিকতা, সহমর্মিতা এবং দায়িত্বশীলতার মাধ্যমে সমাজে ইতিবাচক পরিবর্তন আনতে।
তাঁর সহকর্মীরা বলেন,
“হাসনাত ভাই কেবল রাজনীতিবিদ নন, তিনি একজন প্রেরণাদাতা। তরুণদের তিনি বলেন, নিজের পরিবার যেমন ভালোবাসতে হয়, তেমনি দেশের মানুষের প্রতিও দায়িত্ববোধ থাকতে হবে।”
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষাজীবনে তিনি বিভিন্ন বিতর্ক প্রতিযোগিতা ও ছাত্রসংসদের কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করতেন।
সেখানেই তিনি বুঝতে পারেন, সংগঠন পরিচালনা কেবল রাজনীতি নয়—এটি একটি দায়িত্ব।
তিনি প্রায়ই বলতেন,
“যে নেতৃত্ব জনগণের সুখ-দুঃখ বোঝে না, সে নেতৃত্ব টিকবে না।”
তাঁর এই দৃষ্টিভঙ্গিই তাঁকে এনসিপির একজন আদর্শ সংগঠক হিসেবে প্রতিষ্ঠা দিয়েছে।
হাসনাত এবং তাঁর স্ত্রী দুজনেই সমাজসচেতন ও শিক্ষাবান্ধব পরিবার থেকে আসেন।
তারা বিশ্ববিদ্যালয় জীবনে বিভিন্ন সামাজিক উন্নয়নমূলক উদ্যোগে যুক্ত ছিলেন—বিশেষ করে দরিদ্র শিক্ষার্থীদের সহায়তা ও শিক্ষা প্রচারে।
হাসনাতের স্ত্রী একজন সাহিত্যপ্রেমী ও শিক্ষকতা পেশায় যুক্ত হওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন।
তাদের দুজনের জীবনের লক্ষ্য—একটি সচেতন, শিক্ষিত ও মানবিক সমাজ গঠন করা।
বাংলাদেশে রাজনীতিতে যুক্ত তরুণদের জন্য পারিবারিক জীবনের সঙ্গে দায়িত্ব সামলানো সহজ নয়।
তবু হাসনাত নিজের অবস্থান থেকে একটি ভারসাম্য বজায় রেখেছেন।
তিনি বিশ্বাস করেন,
“একজন ভালো বাবা যেমন সন্তানের জন্য আদর্শ হতে পারেন, তেমনি একজন ভালো রাজনীতিবিদ জাতির জন্যও উদাহরণ হতে পারেন।”
এই দৃষ্টিভঙ্গিই তাঁকে আলাদা করেছে অন্যান্য তরুণ রাজনীতিকদের থেকে
জাতীয় নাগরিক পার্টি সাম্প্রতিক সময়ে তরুণ নেতৃত্ব গড়ে তোলায় গুরুত্ব দিচ্ছে।
দলীয় নেতারা বলছেন, হাসনাত আব্দুল্লাহ সেই নতুন প্রজন্মের প্রতীক, যারা নীতিনিষ্ঠ, দেশপ্রেমিক ও শিক্ষিত রাজনীতি চর্চা করে।
একজন কেন্দ্রীয় নেতা বলেন,
“আমরা চাই রাজনীতিতে এমন তরুণরা নেতৃত্ব দিক, যারা সমাজকে ভালোবাসে। হাসনাত সেই আদর্শের এক সুন্দর প্রতিচ্ছবি।”
নবজাতকের আগমন সবসময়ই আশার প্রতীক।
হাসনাতের ঘরে নতুন প্রাণের আগমনে শুধু পরিবার নয়, তাঁর আশেপাশের মানুষও অনুপ্রাণিত হয়েছেন।
অনেকে বলছেন,
“যে মানুষ নিজের পরিবারের প্রতি দায়িত্বশীল, সে দেশের প্রতিও দায়িত্বশীল হবে।”
এই মন্তব্যগুলোই প্রমাণ করে, তরুণ এই সংগঠক ইতিমধ্যেই রাজনীতির বাইরে মানবিক মূল্যবোধের প্রতীক হিসেবে জায়গা করে নিয়েছেন।
এনসিপির বিভিন্ন সভা-সমাবেশে হাসনাত প্রায়ই বলেন,
“রাজনীতি মানে মানুষকে ভালোবাসা, প্রতারণা নয়। পরিবর্তন শুরু হয় ছোট থেকে—একটি পরিবার, একটি সমাজ, একটি মানুষ।”
এই নীতির আলোকে তিনি কাজ করে যাচ্ছেন, বিশেষ করে দক্ষিণাঞ্চলের তরুণদের নিয়ে সংগঠন শক্তিশালী করতে।
তাঁর মানবিক নেতৃত্ব ভবিষ্যতে বাংলাদেশের তরুণ রাজনীতিতে নতুন ধারার সূচনা করতে পারে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকেরা।
দলীয় কার্যালয় থেকে এক বিবৃতিতে এনসিপি চেয়ারম্যান নবজাতক ও মা’র সুস্থতা কামনা করে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন।
বিবৃতিতে বলা হয়,
“আমরা আশা করি, হাসনাত আব্দুল্লাহ তাঁর পারিবারিক জীবনের এই আনন্দকে সমাজসেবায় আরও অনুপ্রেরণা হিসেবে ব্যবহার করবেন। নতুন প্রাণের আগমনে তাঁর ঘর-সংসার ও রাজনীতি উভয় ক্ষেত্রেই নতুন উদ্যম আসবে।”
জাতীয় নাগরিক পার্টির তরুণ মুখ্য সংগঠক হাসনাত আব্দুল্লাহর জীবনে নতুন আলো এসেছে।
রাজনীতির অঙ্গনে তিনি যেমন দায়িত্বশীল ও প্রভাবশালী, পারিবারিক জীবনেও তিনি এখন একজন গর্বিত পিতা।
এই আনন্দ শুধু তাঁর নয়—তাঁর দল, সহকর্মী এবং তরুণ সমাজেরও।
মা ও নবজাতক সুস্থ আছেন, আর পরিবার ও শুভাকাঙ্ক্ষীদের মুখে হাসি।
নবজাতকের আগমনে চারপাশে বইছে আনন্দের জোয়ার—যা হয়তো প্রমাণ করছে, “জীবনের সবচেয়ে বড় রাজনীতি হলো ভালোবাসা।”