হত্যা মামলায় সাবেক সমাজকল্যাণমন্ত্রী ডা. দীপু মনির চার দিনের এবং সাবেক যুব ও ক্রীড়া উপমন্ত্রী আরিফ খান জয়ের পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। আজ মঙ্গলবার ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সুলতান সোহাগ উদ্দিন এ রিমান্ড আদেশ দেন।

রাজধানীর মোহাম্মদপুরের দোকানি আবু সায়েদকে হত্যা মামলায় বিকেল ৩টা ২০ মিনিটের দিকে তাদের ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে আনা হয়। এ সময় উপস্থিত আইনজীবীরা বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকেন এবং ভিড় ঠেলে তাদের আদালতের হাজতখানায় রাখা হয়। সেখান থেকে তাদের আদালতের দ্বিতীয় তলায় এজলাস কক্ষে নেওয়া হয়।
আসামিদের এজলাসে ডকে ওঠানোর পর দেখা যায়, দীপু মনির হাতকড়া নেই। অন্যদিকে, আরিফ খান জয়ের এক হাতে হাতকড়া ছিল। তাদের দুজনকে হাতকড়া পরানোর দাবি তুললে হট্টগোল শুরু করেন বিএনপি-জামায়াতপন্থী আইনজীবীরা। তাদের দাবির মুখে জয়কে হাতকড়া পরানো হয়। তবে ‘নারী বিবেচনায়’ দীপু মনিকে হাতকড়া পরানো হয়নি।
রিমান্ড শুনানির সময় বিচারকের সঙ্গে কথা বলতে চান আসামি জয়, কিন্তু আইনজীবীদের তোপের মুখে তিনি কিছু বলতে পারেননি। এদিকে, দীপু মনি ডকের কোণায় মাথা নিচু করে ছিলেন এবং কোনো কথা বলেননি। পুরো সময় পুলিশ তাদের দুজনকে ঘিরে রাখে। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদপুর থানার পরিদর্শক তোফাজ্জল হোসেন প্রতিটি আসামির জন্য ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন, এবং শুনানি শেষে আদালত তাদের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।