ডেস্ক রিপোর্ট | সকলের কণ্ঠ
জানামতে, জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জন ও মানি লন্ডারিংয়ের অভিযোগে দায়ের করা দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) মামলায় সাবেক সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রী ও বিশিষ্ট অভিনেতা আসাদুজ্জামান নূরের জামিন আবেদন নাকচ করেছেন আদালত।
আজ রোববার (১২ অক্টোবর) ঢাকার মেট্রোপলিটন সিনিয়র স্পেশাল জজ সাব্বির ফয়েজ এই আদেশ দেন। বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর (এপিপি) আজিজুল হক দিদার।
তিনি জানান, গত ৩০ জুলাই পাঁচ কোটি ৩৭ লাখ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জন এবং ১৫৮ কোটি ৭৮ লাখ টাকার বেশি অর্থ পাচারের (মানি লন্ডারিং) অভিযোগে দুদক মামলা করে। সংস্থাটির উপপরিচালক মো. আজিজুল হক বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন।
মামলার নথি অনুযায়ী, আসাদুজ্জামান নূর ক্ষমতার অপব্যবহার করে পাঁচ কোটি ৩৭ লাখ এক হাজার ১৯০ টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জন করে তা নিজের দখলে রাখেন।
এছাড়া তার নামে থাকা ১৯টি ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের হিসাবে ১৫৮ কোটি ৭৮ লাখ ৪৭ হাজার ৮৯৮ টাকার সন্দেহজনক লেনদেন পাওয়া যায়।
এই লেনদেনের মাধ্যমে অর্থ স্থানান্তর, রূপান্তর ও হস্তান্তরের অভিযোগ আনা হয়েছে, যা মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২ এবং দুদক আইন, ২০০৪ অনুযায়ী শাস্তিযোগ্য অপরাধ।
নথিতে আরও বলা হয়েছে, আসাদুজ্জামান নূরের বিভিন্ন ব্যাংক হিসাবে ৮৫ কোটি ৭২ লাখ ৬৬ হাজার ৫৯৩ টাকা জমা এবং ৭৩ কোটি ৫ লাখ ৮১ হাজার ৩০৫ টাকা উত্তোলন হয়েছে, যার উৎস অস্পষ্ট ও অজানা।
গত বছরের ১৫ সেপ্টেম্বর রাতে রাজধানীর বেইলি রোডের নিজ বাসা থেকে দুদকের একটি দল আসাদুজ্জামান নূরকে গ্রেপ্তার করে। এরপর থেকে তিনি কারাগারে আটক রয়েছেন।
দুদকের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগের তদন্ত এখনও চলমান এবং প্রাথমিকভাবে সংগৃহীত তথ্য-প্রমাণের ভিত্তিতে আরও সম্পদ ও অর্থ লেনদেনের খোঁজ পাওয়া যেতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।