ডেস্ক রিপোর্ট | সকলের কণ্ঠ
মূল বেতনের ২০ শতাংশ হারে বাড়িভাড়া ভাতা প্রদান না করা পর্যন্ত লাগাতার অবস্থান কর্মসূচি চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন এমপিওভুক্ত শিক্ষকরা। রোববার রাতেও তারা কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে অবস্থান করবেন বলে জানিয়েছেন।
এমপিওভুক্ত শিক্ষা জাতীয়করণ প্রত্যাশী জোটের সদস্যসচিব অধ্যক্ষ দেলোয়ার হোসেন আজিজী বলেন,
“রাতে শহীদ মিনারে আমাদের অবস্থান কর্মসূচি চলবে। রাতে আমরা একটি বৈঠকে বসব। সেখানে যদি সরকারের পক্ষ থেকে দাবি মেনে নেওয়ার সুনির্দিষ্ট ঘোষণা আসে, তখন পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।”
রোববার সকাল ৯টা থেকে এমপিওভুক্ত শিক্ষা জাতীয়করণ প্রত্যাশী জোটের ব্যানারে কয়েক হাজার শিক্ষক-কর্মচারী শহীদ মিনারে অবস্থান কর্মসূচিতে অংশ নেন। আন্দোলনকারীরা ঘোষণা দিয়েছেন, আগামী সোমবার (১৩ অক্টোবর) থেকে দেশের সব এমপিওভুক্ত বেসরকারি স্কুল, কলেজ, মাদরাসা ও কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে অনির্দিষ্টকালের কর্মবিরতি শুরু হবে।
এদিকে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে শিক্ষকদের ওপর পুলিশের হামলার নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে ‘অভিভাবক ঐক্য ফোরাম’। সংগঠনটি সরকারের প্রতি শিক্ষকদের সব দাবি দ্রুত মেনে নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে।
রোববার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে অভিভাবক ঐক্য ফোরামের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. জিয়াউল কবির দুলু বলেন,
“আমরা কোন সমাজে বাস করছি, যেখানে মানুষ গড়ার কারিগর— আমাদের শ্রদ্ধেয় শিক্ষকদের প্রকাশ্য দিবালোকে রাস্তায় ফেলে পেটানো হয় ও গ্রেপ্তার করা হয়? এটা লজ্জাজনক ও অমানবিক।”
গত ৩০ সেপ্টেম্বর সরকার এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের বাড়িভাড়া ভাতা ৫০০ টাকা বাড়িয়ে এক হাজার থেকে দেড় হাজার টাকা করার সিদ্ধান্ত নেয়। তবে শিক্ষকরা সেই সিদ্ধান্ত প্রত্যাখ্যান করে মূল বেতনের ২০ শতাংশ হারে বাড়িভাড়া (ন্যূনতম তিন হাজার টাকা) প্রদানের দাবি জানিয়ে আন্দোলনে নামেন।
এরপর ৫ অক্টোবর এই ঘোষণা প্রকাশ্যে এলে দেশজুড়ে বিক্ষোভ ও কর্মসূচি শুরু হয়।
পরে ৬ অক্টোবর শিক্ষা মন্ত্রণালয় বিষয়টি অর্থ বিভাগে পুনর্বিবেচনার জন্য পাঠায়, যেখানে প্রস্তাব করা হয় বাড়িভাড়া ভাতা দুই হাজার থেকে তিন হাজার টাকা পর্যন্ত বাড়ানোর সুপারিশ।
শিক্ষক নেতারা জানিয়েছেন, সরকারি প্রজ্ঞাপন প্রকাশ না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলবে এবং তারা শান্তিপূর্ণ উপায়ে দাবি আদায় করবেন।