ডেস্ক রিপোর্ট | সকলের কণ্ঠ
বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীরা তিন দফা দাবিতে সারাদেশে কর্মবিরতি ও লাগাতার অবস্থান কর্মসূচির ঘোষণা দিয়েছেন। রবিবার (১২ অক্টোবর) সকালে রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে ‘এমপিওভুক্ত শিক্ষা জাতীয়করণ প্রত্যাশী জোট’-এর ব্যানারে এ কর্মসূচি শুরু করেন তারা।
শিক্ষক-কর্মচারীদের দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে—
১️⃣ মূল বেতনের ২০ শতাংশ হারে বাড়িভাতা প্রদান,
২️⃣ চিকিৎসা ভাতা দেড় হাজার টাকা করা,
৩️⃣ কর্মচারীদের উৎসব ভাতা ৭৫ শতাংশে উন্নীত করা।
সকালে প্রেসক্লাবের সামনে শিক্ষক-কর্মচারীরা লাগাতার অবস্থান কর্মসূচি পালন শুরু করলে পুলিশ তাদের সরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করে। এ সময় পুলিশের লাঠিচার্জ, সাউন্ড গ্রেনেড ও জলকামান থেকে পানি ছোড়ার ঘটনা ঘটে। এতে কয়েকজন শিক্ষক আহত হয়েছেন বলে আন্দোলনকারীরা দাবি করেছেন।
ঘটনাস্থল থেকে কয়েকজন শিক্ষক-কর্মচারীকে আটক করে প্রিজন ভ্যানে তোলা হলেও পরে তাদের মধ্যে কিছুজনকে ছেড়ে দেওয়া হয়।
আন্দোলনের সময় প্রেসক্লাবের সামনের রাস্তায় যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। এতে ঢাকার বিভিন্ন এলাকার পথে ভয়াবহ যানজট সৃষ্টি হয়। এমনকি মেট্রোরেল স্টেশনও সাময়িকভাবে বন্ধ রাখা হয়, ফলে যাত্রীদের চরম ভোগান্তি পোহাতে হয়।
পুলিশের আলটিমেটাম
বেলা দেড়টার দিকে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) রমনা বিভাগের উপকমিশনার (ডিসি) মাসুদ আলম আন্দোলনকারীদের উদ্দেশে বলেন,
> “আপনারা শহীদ মিনারে চলে যান। পাঁচ মিনিট সময় দেওয়া হলো। এরপর আমরা আইনগত ব্যবস্থা নেব। আপনাদের নেতারা ইতোমধ্যেই শহীদ মিনারে গেছেন।”
তবে শিক্ষক-কর্মচারীরা বারবার সরিয়ে দেওয়ার পরও পুনরায় প্রেসক্লাবের সামনে ফিরে এসে অবস্থান নেন।
পরে বিকাল তিনটার দিকে পুলিশ ও প্রশাসনের অনুরোধে আন্দোলনকারীরা শহীদ মিনারে সরে যান। সেখানে তারা লাগাতার অবস্থান কর্মসূচি চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেন। একইসঙ্গে আগামীকাল সোমবার (১৩ অক্টোবর) থেকে সারাদেশের সব এমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কর্মবিরতি পালনের ঘোষণা দেওয়া হয়।
‘এমপিওভুক্ত শিক্ষা জাতীয়করণ প্রত্যাশী জোট’-এর নেতারা জানান, তাদের দাবিগুলো পূরণ না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলবে। তারা সরকারের প্রতি আহ্বান জানান— “শিক্ষকদের ন্যায্য দাবি মেনে শিক্ষা ব্যবস্থাকে স্থিতিশীল রাখতে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়া হোক।”