ডেস্ক রিপোর্ট | সকলের কণ্ঠ
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প জানিয়েছেন, গাজা থেকে প্রথম ধাপে সেনা প্রত্যাহারে সম্মত হয়েছে ইসরাইল। শনিবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ট্রুথ সোশ্যালে দেওয়া এক পোস্টে তিনি এই তথ্য নিশ্চিত করেন। ট্রাম্প বলেন, হামাস চুক্তিটি নিশ্চিত করার পরই যুদ্ধবিরতি ও বন্দি বিনিময় প্রক্রিয়া শুরু হবে।
নিউইয়র্ক পোস্ট জানায়, ট্রাম্প তার পোস্টে লেখেন, “যুদ্ধবিরতি প্রস্তাব নিয়ে আলোচনার পর ইসরাইল প্রাথমিক সেনা প্রত্যাহারে রাজি হয়েছে। আমরা এই পরিকল্পনা হামাসের সঙ্গে ভাগ করে নিয়েছি।” তিনি আরও যোগ করেন, এই পরিকল্পনা দীর্ঘদিনের রক্তক্ষয়ী সংঘাতের অবসান ঘটাবে।
এর আগে হোয়াইট হাউজ গত সোমবার যুদ্ধবিরতি পরিকল্পনার অংশ হিসেবে একটি মানচিত্র প্রকাশ করে, যেখানে গাজা থেকে ইসরাইলি সেনা প্রত্যাহারের জন্য নির্দিষ্ট সীমারেখা চিহ্নিত করা হয়। ট্রাম্প জানান, সেই মানচিত্রে চিহ্নিত সীমারেখাগুলো থেকেই ইসরাইল প্রাথমিকভাবে সেনা প্রত্যাহারে সম্মতি দিয়েছে।
এদিকে, ট্রাম্পের দেওয়া ২০ দফা প্রস্তাবের কিছু অংশ মেনে নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে হামাস। স্বাধীনতাকামী এই সংগঠনের এমন অবস্থান জানানোর পর গাজায় ইসরাইলি আগ্রাসন বন্ধে নতুন এক অগ্রগতির ইঙ্গিত দিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট।
বিবিসি ভেরিফাইয়ের হিসাব অনুযায়ী, যুদ্ধবিরতি কার্যকর হলে প্রথম ধাপে সেনা প্রত্যাহারের পরও গাজার প্রায় ৫৫ শতাংশ এলাকা ইসরাইলের নিয়ন্ত্রণে থেকে যাবে।
অন্যদিকে, ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু শনিবার রাতে জানান, তিনি স্ট্র্যাটেজিক অ্যাফেয়ার্স মন্ত্রী রন ডার্মারকে আলোচক দলসহ মিশরে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন, যাতে জিম্মি মুক্তির বিষয়টি দ্রুত চূড়ান্ত করা যায়।
নেতানিয়াহু আরও বলেন, “আমাদের লক্ষ্য হল আলোচনা কয়েক দিনের মধ্যেই সম্পন্ন করা। আমরা সময়ক্ষেপণের কোনো কৌশল মেনে নেব না।”
এই ঘটনাকে বিশ্লেষকরা গাজা সংকট নিরসনে এক ‘গুরুত্বপূর্ণ কূটনৈতিক অগ্রগতি’ হিসেবে দেখছেন।