🔶 সচিবালয়ে একবার ব্যবহার্য প্লাস্টিক নিষিদ্ধ: বিকল্প কাগজের ব্যাগে বদলে যাচ্ছে সবকিছু

ডেস্ক রিপোর্ট | সকলের কণ্ঠ

আগামীকাল রোববার (৫ অক্টোবর) থেকে সচিবালয়ে সম্পূর্ণভাবে নিষিদ্ধ হচ্ছে একবার ব্যবহার্য প্লাস্টিক বা সিঙ্গেল ইউজ প্লাস্টিক (এসইউপি)। প্রবেশপথে থাকবে কড়া নজরদারি; সচিবালয়ে প্রবেশের সময় কারও কাছে পলিথিন বা একবার ব্যবহার্য প্লাস্টিক পাওয়া গেলে তা সঙ্গে সঙ্গে জব্দ করা হবে।

পরিবেশবান্ধব উদ্যোগের অংশ হিসেবে প্লাস্টিকের পরিবর্তে কাগজের ব্যাগ, পাটজাত ও কাপড়ের বিকল্প সামগ্রী ব্যবহারের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

এই সম্পর্কিত আরো খবর

কোনো কনটেন্ট নেই

শনিবার (৪ অক্টোবর) এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানান পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা দীপংকর বর।

তিনি বলেন,

“পরিবেশ ও জনস্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর এসব পণ্য বন্ধে অনুসরণীয় দৃষ্টান্ত স্থাপনে সরকার এই পদক্ষেপ নিয়েছে।”

বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, সচিবালয়ের প্রবেশপথে চেকিং ব্যবস্থার পাশাপাশি বিভিন্ন স্থানে সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য বোর্ড ও ব্যানার বসানো হয়েছে।

পুরো প্রক্রিয়াটি তদারকিতে রয়েছে একটি মনিটরিং টিম, যারা নিয়মিতভাবে এসইউপি নিষিদ্ধকরণ কার্যক্রম পর্যবেক্ষণ করবে।

মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনায় বলা হয়েছে—

“সচিবালয়ের সব সভা, সেমিনার ও সরকারি অনুষ্ঠানে বোতল, কাপ, প্লেট, চামচসহ একবার ব্যবহার্য প্লাস্টিকের ব্যবহার সম্পূর্ণ বন্ধ থাকবে।”

এর পরিবর্তে পরিবেশবান্ধব উপকরণ যেমন কাগজ, পাট, কাপড় বা পুনঃব্যবহারযোগ্য সামগ্রী ব্যবহারের ওপর গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে।

প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, সরকারি ক্রয় প্রক্রিয়াতেও এখন থেকে প্লাস্টিকের বিকল্প পণ্য অন্তর্ভুক্ত করা হবে। এর মাধ্যমে টেকসই ও পুনঃব্যবহারযোগ্য সামগ্রীর প্রচলন বাড়ানোর পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে।

সচিবালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য এসইউপি ব্যবহার বন্ধে বিশেষ নির্দেশনা জারি করা হয়েছে।
সভা-সেমিনারে কাগজ বা পরিবেশবান্ধব প্যাকেট ব্যবহার বাধ্যতামূলক করা হয়েছে এবং অফিসে বিকল্প উপকরণ সরবরাহের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

প্রতিটি মন্ত্রণালয়ে একজন ফোকাল পারসন নিয়োগ ও একটি মনিটরিং কমিটি গঠনের নির্দেশও দেওয়া হয়েছে।

রোববার (৫ অক্টোবর) থেকে সচিবালয়কে সম্পূর্ণ এসইউপি মুক্ত অঞ্চল হিসেবে গড়ে তুলতে সংশ্লিষ্ট সব মন্ত্রণালয় ও কর্মকর্তাদের সহযোগিতা কামনা করেছে পরিবেশ মন্ত্রণালয়।

এই উদ্যোগের মাধ্যমে বাংলাদেশ সরকার একটি পরিবেশবান্ধব প্রশাসনিক উদাহরণ স্থাপন করতে যাচ্ছে, যা ভবিষ্যতে দেশের অন্যান্য দপ্তর ও প্রতিষ্ঠানেও অনুসরণীয় হতে পারে।