ডেস্ক রিপোর্ট | সকলের কণ্ঠ
যুক্তরাষ্ট্রে সাত বছরের মধ্যে প্রথমবারের মতো ফের শুরু হয়েছে সরকারি শাটডাউন বা অচলাবস্থা। হোয়াইট হাউজ জানিয়েছে, মাত্র দুই দিনের মধ্যেই ব্যাপক হারে ফেডারেল কর্মীদের ছাঁটাই শুরু হবে। তবে এই পরিস্থিতি মোকাবিলায় রিপাবলিকান ও ডেমোক্রেট আইনপ্রণেতারা একে অপরকে দোষারোপ করছেন, ফলে সমঝোতার কোনো লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না।
প্রতি বছর ফেডারেল সংস্থাগুলো বাজেটের জন্য কংগ্রেসের অনুমোদনের অপেক্ষায় থাকে। কিন্তু এ বছর নতুন ব্যয় পরিকল্পনায় রিপাবলিকান ও ডেমোক্রেটরা একমত হতে না পারায় ১ অক্টোবর থেকে নতুন অর্থবছর শুরু হওয়ার আগেই সরকারি কার্যক্রম স্থবির হয়ে পড়ে। এর ফলে ‘অপ্রয়োজনীয়’ সব কার্যক্রম বন্ধ হয়ে গেছে এবং অনেক জরুরি সেবায়ও বিঘ্ন ঘটেছে।
হোয়াইট হাউজ প্রেস সেক্রেটারি ক্যারোলিন লেভিট ও ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভ্যান্স এক ব্রিফিংয়ে ডেমোক্রেটদের অভিযুক্ত করে বলেন, “ডেমোক্রেটরা রাজনৈতিক খেলায় মেতেছে, আমেরিকান জনগণই এর ভুক্তভোগী হবে।”
অন্যদিকে, সিনেটের শীর্ষ ডেমোক্রেট চাক শুমার রিপাবলিকানদের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে বলেন, তারা ডেমোক্রেটদের ব্যয় পরিকল্পনা মেনে নিতে জোরাজুরি করছে।
ডেমোক্রেটরা স্বাস্থ্যসেবায় পর্যাপ্ত অর্থায়ন নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত চুক্তিতে সম্মত হতে চাইছেন। অন্যদিকে রিপাবলিকানরা মধ্য নভেম্বর পর্যন্ত অস্থায়ী অর্থায়নের ব্যবস্থা রাখতে চাইছে।
সিনেটর ক্রিস মারফি বলেন, “রিপাবলিকানরা আলোচনা থেকে সরে দাঁড়াচ্ছে, সরকারের অচলাবস্থা দূর করতে তাদেরকেই উদ্যোগী হতে হবে।”
শাটডাউনের কারণে সীমান্ত রক্ষী, সেনাবাহিনীসহ অপরিহার্য কর্মীদের বেতন ছাড়াই কাজ করতে হবে। তবে অপ্রয়োজনীয় সরকারি কর্মীদের বিনা বেতনে ছুটিতে পাঠানো হয়েছে। বিশ্লেষকরা মনে করছেন, এবার প্রায় ৭ লাখ ৫০ হাজার ফেডারেল কর্মী সাময়িকভাবে কর্মহীন হয়ে পড়তে পারেন, যা ২০১৮ সালের তুলনায় আরও বড় অচলাবস্থা তৈরি করবে।
শুক্রবার রিপাবলিকানদের প্রস্তাবিত স্বল্পমেয়াদি অর্থায়ন বিলের ওপর আবারও ভোট অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। তবে সমঝোতা না হলে যুক্তরাষ্ট্রে অর্থনীতি ও প্রশাসন আরও বড় ধাক্কার মুখে পড়বে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।