ডেস্ক রিপোর্ট | সকলের কণ্ঠ
খাগড়াছড়িতে আলোচিত মারমা কিশোরীর স্বাস্থ্য পরীক্ষায় ধর্ষণের কোনো আলামত পাওয়া যায়নি বলে জানিয়েছে চিকিৎসক দল। এ ঘটনায় দায়ের হওয়া মামলার প্রেক্ষিতে তিন সদস্যের মেডিকেল বোর্ড কর্তৃক প্রদত্ত প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে।
২৫০ শয্যাবিশিষ্ট খাগড়াছড়ি জেলা সদর হাসপাতালে ওই কিশোরীর স্বাস্থ্য পরীক্ষা সম্পন্ন হয়। চিকিৎসকদলে ছিলেন হাসপাতালের স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞ ডা. জয়া চাকমা, মেডিকেল অফিসার ডা. মীর মোশারফ হোসেন এবং ডা. নাহিদা আকতার।
গত ২৮ সেপ্টেম্বর স্বাক্ষরিত ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, কিশোরীর শরীরে কোনো আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি। সাম্প্রতিক জোরপূর্বক যৌনক্রিয়ার কোনো আলামতও মেলেনি। এছাড়া পরীক্ষার সময় তার মানসিক অবস্থা স্বাভাবিক ছিল বলে উল্লেখ করেছেন চিকিৎসকরা। হাসপাতালের সূত্র জানিয়েছে, সব ধরনের পরীক্ষা শেষে চিকিৎসকরা তাদের প্রতিবেদন জমা দিয়েছেন।
এর আগে গত ২৩ সেপ্টেম্বর ওই কিশোরীকে দলবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগে খাগড়াছড়ি সদর থানায় মামলা দায়ের হয়। মামলার পরদিন সেনাবাহিনীর সহায়তায় একজনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এ অভিযোগ ঘিরে এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে এবং বিক্ষোভ আন্দোলন শুরু হয়।
এদিকে, চলমান অনির্দিষ্টকালের অবরোধ কর্মসূচি স্থগিতের ঘোষণা দিয়েছে জুম্ম ছাত্র-জনতা। মঙ্গলবার রাতে সংগঠনটির ফেসবুক পেজে দেওয়া এক পোস্টে জানানো হয়, শারদীয় দুর্গোৎসবের প্রতি সম্মান জানিয়ে এবং প্রশাসনের দেওয়া আট দফা বাস্তবায়নের আশ্বাসের প্রেক্ষিতে অবরোধ আগামী ৫ অক্টোবর পর্যন্ত স্থগিত রাখা হবে।