কোটা সংস্কার আন্দোলন নিয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কোনো সাধারণ শিক্ষার্থীকে গ্রেপ্তার বা নির্যাতন করেনি বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। সোমবার এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, “শুধু যারা সন্ত্রাস ও সহিংসতায় সরাসরি জড়িত ছিল, তাদের সুনির্দিষ্ট তথ্যের ভিত্তিতে গ্রেপ্তার করা হচ্ছে। অথচ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে গুজব ছড়িয়ে সাধারণ শিক্ষার্থীদের উস্কানি দেওয়া হচ্ছে। সাইবার সন্ত্রাসীরা আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে ভুল তথ্য ও ভুয়া ছবি পাঠিয়ে দেশের বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালাচ্ছে।”
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের ‘বিভ্রান্তিকর ও উস্কানিমূলক’ বক্তব্যের প্রতিবাদে কাদের বলেন, “বিএনপি নেতারা কোমলমতি শিক্ষার্থীদের কাঁধে বন্দুক রেখে বর্তমান সরকারকে নিশানা করেছে। বারবার প্রত্যাখ্যাত হয়ে ষড়যন্ত্র ও নৈরাজ্য সৃষ্টি তাদের একমাত্র কৌশল। তারা যেকোনো আন্দোলনকে সরকারবিরোধী আন্দোলনে রূপ দিতে উন্মত্ত হয়ে ওঠে। সরকার শিক্ষার্থীদের সব দাবি পূরণ করেছে, তবু মির্জা ফখরুল এখন সরকারের পদত্যাগ দাবি করছেন। এই দাবি শুধু সরকারবিরোধী বা দেশবিরোধী অপশক্তি বিএনপি-জামায়াতের।”
কোটা আন্দোলন চলাকালে সহিংসতায় দুই শতাধিক মৃত্যুর খবর সংবাদমাধ্যমে এসেছে। তবে সরকার রোববার পর্যন্ত ১৪৭ জনের মৃত্যুর তথ্য দিয়েছে। মির্জা ফখরুল এই হিসাবকে ‘গ্রহণযোগ্য নয়’ বলে দাবি করেছেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, “তদন্ত প্রক্রিয়া শেষ হওয়ার আগেই মির্জা ফখরুল এসব হত্যাকাণ্ড নিয়ে মন্তব্য করে বিষয়টিকে ভিন্নখাতে প্রবাহিত করার অপচেষ্টা চালাচ্ছেন। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সুনির্দিষ্ট তথ্যের ভিত্তিতে সন্ত্রাসের মদদদাতা ও অর্থের জোগানদাতাদের চিহ্নিত করেছে এবং তাদের গ্রেপ্তারের প্রক্রিয়া চলছে।”