মুন্সীগঞ্জের টঙ্গীবাড়ি উপজেলার কাঠাদিয়া-শিমুলিয়া ইউনিয়নের কাঠাদিয়া গ্রামে ঘটে গেছে এক ব্যতিক্রমী ঘটনা। ১০ বছরের দাম্পত্য জীবন ভেঙে যাওয়ার পর দ্বিতীয় বিয়েতে হেলিকপ্টার ভাড়া করে নতুন বউ নিয়ে আসেন স্বামী কামাল হোসেন। এ অনন্য দৃশ্য দেখতে ভিড় জমায় পুরো গ্রাম।
কাঠাদিয়া গ্রামের বাসিন্দা সার্ভেয়ার কামাল হোসেনের সঙ্গে প্রায় এক দশক আগে বিয়ে হয় সাথী আক্তারের। সংসারে দুই কন্যা সন্তান জন্ম নেয়। সুখেই চলছিল তাঁদের দাম্পত্য জীবন। কিন্তু গত ১০ আগস্ট সবকিছু ওলটপালট হয়ে যায়। দুই সন্তানকে স্বামীর বাড়িতে রেখে সাথী পালিয়ে যান সদর উপজেলার সিপাহীপাড়া এলাকার এক বিবাহিত যুবক মুন্নার সঙ্গে।
পরে জানা যায়, সাথী আক্তার কামালকে তালাকও দিয়েছেন। হঠাৎ সংসার ভেঙে যাওয়ায় ক্ষোভ ও অভিমানে নতুন পথ বেছে নেন কামাল। শুক্রবার দুপুরে ছোট মেয়েকে কোলে নিয়ে বরের সাজে হেলিকপ্টারে চড়ে রওনা হন কনের বাড়ির উদ্দেশ্যে। সেখানে বিয়ে সম্পন্ন করে বিকেলে নববধূকে নিয়ে নিজ গ্রামে ফিরে আসেন তিনি।
কামাল হোসেন জানান,
“দেশে পুরুষ নির্যাতনের বিচার কেউ করে না। আমার কোনো অভাব ছিল না, স্ত্রী ও সন্তানদের সুখে রাখতেই কঠোর পরিশ্রম করতাম। কিন্তু হঠাৎ স্ত্রী পালিয়ে যাওয়ায় আমি মানসিকভাবে ভেঙে পড়ি। অভিমানে দ্বিতীয় বিয়ের সিদ্ধান্ত নেই। নতুন স্ত্রীও সন্তানসহ আমার পরিবারকে গ্রহণ করতে রাজি হয়েছেন।”
তিনি আরও বলেন, এলাকায় চমক দেখাতে এবং নতুন জীবনের জন্য শুভ সূচনা করতে হেলিকপ্টার ভাড়া করেছেন। এ সময় তিনি সকলের কাছে দোয়া কামনা করেন।
হেলিকপ্টার অবতরণের দৃশ্য দেখতে ভিড় করেন আশপাশের হাজারো মানুষ। মুহূর্তের মধ্যে পুরো গ্রামজুড়ে ছড়িয়ে পড়ে আনন্দ-উৎসবের আমেজ।
টঙ্গীবাড়ি ডিএসবির এসআই মনোরঞ্জন জানান, বিয়ের অনুষ্ঠান শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন হয়েছে। কোনো ধরনের অপ্রীতিকর পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়নি।