১৫ দিনের মধ্যে দাবি মেনে নেয়ার আশ্বাস পেল আন্দোলনকারীরা; না হলে কঠোর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি
কুলাউড়া (সিলেট) — সিলেট বিভাগের কুলাউড়া জংশন স্টেশন প্ল্যাটফর্মে শনিবার বেলা ১১টা থেকে দুপুর সাড়ে ১২টা পর্যন্ত সশস্ত্র না হলেও গণতান্ত্রিক আন্দোলনের তীব্র এক অনুশীলন দেখলো অঞ্চলটি: ট্রেন যাত্রী, স্থানীয় সমাজ, রাজনৈতিক নেতাকর্মী ও ব্যবসায়ীসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ অংশ নিয়ে চলমান আট দফা দাবি বাস্তবায়নের লক্ষ্যে অবস্থান ধর্মঘট পালিত হলো। আন্দোলনকারীরা দাবি করেন— সিলেট অঞ্চলের রেল যোগাযোগ ক্ষীণ ও উপেক্ষিত; অবিলম্বে ট্রেনসংক্রান্ত সার্বিক সমস্যা সমাধান করে সুনিশ্চিত রেলসেবা সরবরাহ করতে হবে। তারা সুস্পষ্টভাবে বলেছে, যদি আগামী ১৫ দিনের মধ্যে রেল কর্তৃপক্ষ তাদের দাবি মেনে না নেয়, তাহলে শুধুমাত্র অবস্থান ধর্মঘট নয় — পরবর্তী ধাপে বৃহত্তর আন্দোলন, এমনকি গোটা সিলেট অচল করে দেয়ারও প্রস্তুতি রয়েছে।
এই প্রতিবেদনটিতে আমরা ঘটনার বিস্তারিত, আন্দোলনের আট দফা দাবি, প্রশাসন ও রেলের সঙ্গে সমঝোতার প্রেক্ষাপট, সম্ভাব্য প্রভাব, রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট, অর্থনৈতিক ও সামাজিক বিশ্লেষণ এবং সুপারিশ সংবলিত একটি বিস্তৃত (SEO-বান্ধব) সংবাদ ফিচার উপস্থাপন করছি। প্রতিবেদনের শুরুতেই দুইটি H1 শিরোনাম দেওয়া আছে, এরপর প্রতিটি অংশকে সাবহেডিং দিয়ে সাজানো হয়েছে যাতে অনলাইন পঠন, সার্চ ইঞ্জিন র্যাঙ্কিং এবং পাঠকের সহজ বোধ বজায় থাকে।
শনিবার কুলাউড়া জংশন স্টেশনের প্ল্যাটফর্মে স্থানীয় সময় বেলা ১১টা থেকে দুপুর সাড়ে ১২টা পর্যন্ত অবস্থান ধর্মঘট চলে। এই কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা প্রশাসন, রাজনৈতিক দলগুলোর স্থানীয় নেতাকর্মী, রেলভ্রমণকারীরা এবং সাধারণ নাগরিক। আন্দোলন চলাকালীন একটি সময় সিলেট থেকে ছেড়ে আসা চট্টগ্রামগামী আন্তঃনগর পাহাড়িকা একপ্রকার প্রায় আধা ঘণ্টার জন্য আটকে পড়ে — আন্দোলনকারীরা তাকে সাময়িকভাবে থামিয়ে রাখেন তাদের দাবি-মঞ্চন সুনিশ্চিত করতে। পরে দ্রুত ঘটনাস্থলে উপজেলা প্রশাসন, জেলা ও রেলসংক্রান্ত কর্মকর্তারা উপস্থিত হয়ে পরিস্থিতি শান্ত করেন।
স্থানীয় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. মহিউদিন মোবাইল ফোনের মাধ্যমে রেলওয়ের বিভাগীয় ব্যবস্থাপক (ডিআরএম) মোহাম্মদ মহিউদ্দিন আরিফকে আন্দোলনকারীদের দাবি তুলে জানান। পরে মোবাইল আলাপচারিতায় রেল কর্মকর্তার কাছ থেকে আন্দোলনকারীরা নিশ্চিত হন, আগামী পনেরো দিনের মধ্যে তাদের দাবি গ্রহণের সম্ভাব্য কর্মপরিকল্পনা দেওয়া হবে। এ প্রতিশ্রয় পেয়ে আন্দোলনকারীরা সাময়িকভাবে কর্মসূচি শেষ করে, কিন্তু দাবির বাস্তবায়ন না হলে কঠোর সড়ক-বন্দি কর্মসূচি দেওয়ার হুঁশিয়ারিও দেন।
আন্দোলনকারীরা যে আট দফা দাবি তালিকাভুক্ত করেছে, তা হলো—
- সিলেট-ঢাকা ও সিলেট-কক্সবাজার রেলপথে প্রতিটি রুটে দুটি নতুন ট্রেন চালু করা।
- সিলেট-আখাউড়া সেকশনের রেলপথ সংস্কার করে ডুয়েল গেজে উন্নীত করা (ডুয়েলগেজে রূপান্তর)।
- সিলেট-আখাউড়া লোকাল ট্রেন চালু করা, যাতে স্থানীয় যাত্রীদের ভোর/বিকাল সুবিধা বৃদ্ধি পায়।
- সিলেটে বন্ধ হয়ে যাওয়া রেলস্টেশনগুলো পুনরায় চালু ও তাদের কার্যকারিতা নিশ্চিত করা।
- কুলাউড়া স্টেশনে টিকিট বরাদ্দ ও কাউন্টার সংখ্যা বৃদ্ধি করা।
- ট্রেন ও ইঞ্জিনগুলোর প্রযুক্তিগত রক্ষণাবেক্ষণ ও আরোগ্যকরণ দ্রুততর করা।
- রেললাইন ও সিগন্যালিং ব্যবস্থা উন্নয়নের মাধ্যমে সময়ানুবর্তিতা বৃদ্ধি।
- রেলসেবা উন্নয়নের জন্য স্থানীয় কর্মী নিয়োগ এবং স্থানীয় এনজিও/কমিউনিটির সঙ্গে সমন্বিত পরিকল্পনা গ্রহণ।
আন্দোলনকারীদের বক্তব্যে বলা হয়, এই আট দফা দাবি মেনেই কুলাউড়া অঞ্চলের যাত্রী সুবিধা অনেকাংশে বৃদ্ধি পাবে এবং নিয়মিত ভোগান্তি শেষ হবে।
কর্মসূচির সমন্বয়ক আজিজুল ইসলামের সভাপতিত্বে বক্তব্য দেন নওয়াব আলী আব্বাছ খান (জাতীয় পার্টি, কাজী জাফর গ্রুপের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও সাবেক সংসদ সদস্য), উপজেলা বিএনপির সভাপতি জয়নাল আবেদীন বাচ্চু ও সাধারণ সম্পাদক বদরুজ্জামান সজল, জামায়াতের নায়েবে আমির মো. জাকির হোসেন প্রমুখ। স্থানীয় নেতৃত্ব ও রাজনৈতিক দলের সমর্থন আন্দোলনের ঐক্য ও তীব্রতা বাড়িয়েছে। বক্তারা একাত্মতা দেখিয়ে জানান— রেলকর্মীরা ও যাত্রীরা দীর্ঘদিন ধরে নিরন্তর লাঞ্ছিত হচ্ছেন; এখন আর সহনশীলতার সময় নেই।
আন্দোলনের সময় কুলাউড়া থানা ও রেলওয়ে থানার ওসি, স্টেশন মাস্টারসহ উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা উপস্থিত থেকে পরিস্থিতি শান্ত করার চেষ্টা করেন। ইউএনও মো. মহিউদ্দিন এবং ডিআরএম মোহাম্মদ মহিউদ্দিন আরিফের ফোনালাপের পর আন্দোলনকারীদের জানানো হয় যে, রেলের সিডিউলে কিছু পরিবর্তন ও অবকাঠামোগত পরিকল্পনা নেওয়া হবে এবং আগামী ১৫ দিনের মধ্যে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করে অগ্রগতির কথা জানানো হবে। এই প্রতিশ্রয় আন্দোলনকারীদের শান্ত করে দেয়, তবে তারা পুনরায় জোরদার আন্দোলন করার আশঙ্কাও ব্যক্ত করে।
সিলেট বিভাগ ভূগোলগতভাবে উত্তরের প্রান্তে অবস্থিত, পাহাড়-উৎরাই, নদীনালা ও সেচনালীর জটিল ভূতত্ত্ব এই অঞ্চলের যোগাযোগ ব্যবস্থাকে প্রভাবিত করে। স্বাধীনতা উত্তরণ ও উন্নয়নের ধারায় রেল যোগাযোগকে সবচেয়ে কার্যকর পদ্ধতি বিবেচনা করা হয়েছে, কিন্তু বাস্তবে সিলেট অঞ্চলের রেলব্যবস্থা দীর্ঘদিন ধরে অনীহা ও অবহেলায় ভুগছে। রেললাইনগুলো অধিকাংশই সিঙ্গেল গেজে থাকায় ট্রেন চাপের তুলনায় ক্ষমতা সীমিত, সময়ানুবর্তিতা কম এবং প্রযুক্তিগত রক্ষণাবেক্ষণের অভাব বারবার দুর্ঘটনা ও দেরির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
বিশ্লেষকরা মনে করেন— সিলেট বিভাগের বর্ধিত অর্থনীতির জন্য রেলের আধুনিকীকরণ অপরিহার্য। পর্যটন (বিশেষত সিলেট-জুম্মা, চা বাগান) ও বাণিজ্যিক মালবাহী পরিবহন উন্নয়নে রেলই মূল চালিকা শক্তি হতে পারবে; যদি সঠিক বিনিয়োগ ও রাজনৈতিক সদিচ্ছা না থাকে, তাহলে রেল অবকাঠামোর উন্নয়ন দীর্ঘস্থায়ী বাধাগ্রস্ত থাকবে।
স্থানীয় যাত্রীরা অভিযোগ করেন— ট্রেনের ইঞ্জিন বারবার নষ্ট হয়, বগির অবস্থা অনুপযোগী, টিকিট বরাদ্দ কম, জনপ্রিয় রুটগুলোতে ট্রেনের সংখ্যা অপর্যাপ্ত এবং স্টেশনগুলো দূষিত ও সেবা-হীন। অনেক দিন ধরে স্থানীয় মানুষের দিনযাপন ট্রেনের সময়ে নির্ভর করে; রেলের ব্যাঘাত তাদের জীবনে দৈনন্দিন সমস্যা সৃষ্টি করে। ব্যবসায়ী ও শিক্ষার্থী সমেত বহু মানুষ বাসাভিত্তিক বিকল্পে অতিরিক্ত অর্থ ও সময় ব্যয় করছেন।
রেল যোগাযোগের অনুপস্থিতি বা দুর্বলতা সরাসরি অর্থনীতিকে প্রভাবিত করে—
- বাণিজ্যিক ক্ষতি: কাঁচা পণ্য, ফল-মূল ও কৃষিজাত দ্রব্য দ্রুত বাজারে পৌঁছাতে পারে না; ট্রান্সপোর্ট খরচ বেড়ে যায়।
- পর্যটন আয়ের ক্ষতি: সিলেট অঞ্চলের পর্যটন কার্যক্রমে ট্রেন ভ্রমণ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে; যাত্রীসংখ্যা কমলে পর্যটন খাতেও প্রভাব পড়ে।
- চাকরি ও কর্মসংস্থান: রেলসেবা উন্নত হলে স্থানীয় কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হয়— स्टेशन, পরিষেবা, রক্ষণাবেক্ষণ ইত্যাদি কাজে স্থানীয়রা কাজ পাবে।
- সামাজিক দূরত্ব: অবকাঠামো উন্নয়ন না হলে গ্রামীণ- নগর বৈষম্য বৃদ্ধি পায়; শিক্ষার্থী, চিকিৎসা-সেবা প্রভৃতি ক্ষেত্রে জনসাধারণ দুর্ভোগে পড়ে।
কুলাউড়া ও সিলেট জেলায় রাজনৈতিক দলগুলো স্থানীয় জনসমর্থন জোরদার করার জন্য উভয়পক্ষই রেল উন্নয়নের বিষয়কে গুরুত্ব দিয়েছে। গত কয়েকবছরে রেল উন্নয়নের ক্ষেত্রে বরাদ্দ ও প্রকল্প প্রস্তাবনা থাকলেও তা স্থায়ীভাবে বাস্তবায়িত হয়নি। বর্তমান আন্দোলনে বিভিন্ন দলের নেতা অংশগ্রহণ করায় বিষয়টি ভোট-নেতৃত্বের কৌশলগত অঙ্গ হিসেবে দেখা হচ্ছে— সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে কেন্দ্র ও সেকশনীয় তৎপরতার সমন্বয় প্রয়োজন।
রেল কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে বলা হয়— বাজেট, প্রযুক্তিগত সরঞ্জাম, জায়গাগত বাধা এবং নিরাপত্তা প্রোটোকল মেনেই কাজ হচ্ছে। সিলেট-আখাউড়া সেকশনের ডুয়েলগেজে রূপান্তর একটি বড় প্রকল্প, যা সময়সাপেক্ষ এবং যথেষ্ট আর্থিক সহায়তা ছাড়া দ্রুত বাস্তবায়ন করা কঠিন। তাছাড়া নতুন ট্রেন চালু করার জন্য রেলওকে ইঞ্জিন, বগি ও মানবসম্পদ খরচ যোগাড় করতে হয় — এগুলোও সাময়িকভাবে সহজলভ্য নয়। তবে আন্দোলনকারীদের দাবি কার্যত জনগণের চাহিদা; তাই রেলওকে অবশ্যই ন্যূনতম পরিষেবা উন্নয়ন পরিকল্পনা দ্রুত গ্রহণ করে আঞ্চলিক অস্বস্তি শিথিল করতে হবে।
ট্রেনের ইঞ্জিন ও বগির নাজুক অবস্থা শুধুই আরামের বিষয় নয়; এটি সড়ক-মধ্যাহ্ন দুর্ঘটনার চেয়ে বড় রেল দুর্ঘটনার ঝুঁকি তৈরি করে। সিগন্যালিং ও রেললাইন খারাপ হলে ক্রমাগত বিলম্ব, লোড ইস্যু এবং দুর্ঘটনার সম্ভাবনা বাড়ে। এ কারণে কুলাউড়া-সিলেট সেকশনে দ্রুত সিগন্যালিং আপগ্রেড, ট্র্যাক রিক্রিম্পিং, ও রক্ষণাবেক্ষণ কর্মশক্তি বৃদ্ধির দাবি অতি প্রয়োজনীয়।
দলীয় নেতা, প্রশাসন ও রেল কর্তৃপক্ষ মিলে দ্রুত কয়েকটি বাস্তবসম্মত পদক্ষেপ গ্রহণ করলে আঞ্চলিক চাপ অনেকাংশে কমানো সম্ভব— প্রধানত:
- অত্যাবশ্যকীয় ও সময়োপযোগী পদক্ষেপ: আগামী ১৫ দিনের মধ্যে রেলের অস্থায়ী কপন/টাইমটেবিল পরিবর্তন করে লোকাল ট্রেন চালনার ব্যবস্থা করা।
- প্রাথমিক অর্থায়ন ও তৎকালীন রক্ষণাবেক্ষণ: জরুরি ইঞ্জিন-মেরামতি ও বগি সংস্কারের জন্য জরুরি তহবিল বরাদ্দ।
- লোকাল এনজিও ও কমিউনিটির অংশগ্রহণ: স্থানীয় এনজিওকে কাজে লাগিয়ে স্টেশন পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা ও যাত্রী সেবার দায়িত্ব ভাগ করা।
- ডুয়েল গেজ প্রকল্পের দ্রুত প্রশিক্ষণ ও পরিকল্পনা: সময়-সূচি নির্ধারণসহ মার্চেন্ট-বোঝা, পর্যটক ও যাত্রী বহরের ওপর ভিত্তি করে ধাপে ধাপে ডুয়েলগেজ উন্নয়ন।
- টিকিট বরাদ্দ ও কাউন্টার বাড়ানো: কুলাউড়া স্টেশনে কাউন্টার সংখ্যা ও অনলাইন টিকিটিঙে আরও সুবিধা সৃষ্টি।
- স্থানীয় জনসাধারণকে তথ্য সেবা: রেল ও প্রশাসনের উদ্যোগ ও অগ্রগতির নিয়মিত স্টেকহোল্ডার আপডেট প্রদান।
আন্দোলনের তীব্রতা বাড়লে কয়েকটি প্রত্যাশিত ঝুঁকি দেখা দিতে পারে— ট্রেন লাইনজ্যাম, বাণিজ্যিক ক্ষতি, স্থানীয় রাজনীতিতে উত্তেজনা বৃদ্ধি, এবং আইনশৃঙ্খলা বিঘ্ন। তাই প্রশাসন ও রেল কর্তৃপক্ষকে শৃঙ্খলা বজায় রেখে জনগণের ন্যায্য দাবি যত দ্রুত সম্ভব সন্তুষ্ট করার ওপর জোর দেওয়া উচিত।
কর্মসূচিতে উপস্থিত এক শিক্ষক (নাম গোপন) বলেন, “আমরা প্রতিদিন ট্রেনে ভ্রমণ করি, কিন্তু ট্রেন বিলম্ব হলে ছাত্রদের স্কুলে পৌঁছানো নিয়ে সমস্যা হয়। রেল যদি ভালো থাকত, আমাদের জীবন অনেক সহজ হতো।” অপরদিকে একটি ছোট ব্যবসায়ী জানান, “পণ্য বাজারে পাঠাতে রেল ব্যবহার করলে খরচ কমে, কিন্তু এখন ট্রাকভাড়া বেশি দেয়া হয়, পণ্যের লাভ কমে যায়।”
কুলাউড়া জংশনে অনুষ্ঠিত এই অবস্থান ধর্মঘট কেবল এক সপ্তাহব্যাপী প্রতিবাদ নয়; এটি সিলেট বিভাগের দীর্ঘদিন ধরে গড়ে উঠা অবহেলা ও অব্যবস্থার প্রতিফলন। রেল কর্মকর্তার দেয়া ১৫ দিনের প্রতিশ্রয় আন্দোলনকারীদের সাময়িক শান্তি দিয়েছে; তবে বাস্তব অগ্রগতি না হলে আন্দোলন আরও জোরালো হবে বলে তারা হুঁশিয়ারি দিয়েছেন। রাজনৈতিক নেতৃত্ব, প্রশাসন ও রেল কর্তৃপক্ষ— তিন পক্ষের সুসংগঠিত সমন্বয় ছাড়া টেকসই সমাধান সম্ভব নয়।
আন্তর্জাতিক ও জাতীয় উন্নয়নের মানচিত্রে সিলেটের পূর্ণাঙ্গ অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে হলে রেল অবকাঠামোকে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে উন্নত করা একান্ত প্রয়োজন। এ ক্ষেত্রে স্থানীয় জনগোষ্ঠীর অংশগ্রহণ, স্বচ্ছ তহবিল বরাদ্দ এবং সময়সীমা অনুসরণ করলে কুলাউড়া-সিলেট আঞ্চলিক অর্থনীতি ও সামাজিক স্থিতিশীলতা দুইই লাভবান হবে।