ডেস্ক রিপোর্ট | সকলের কণ্ঠ
২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারিতে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন। এ উপলক্ষে বড় পরিসরে প্রস্তুতি শুরু করেছে বিএনপি। দলীয় সূত্রে জানা গেছে, আগামী মাসের মধ্যেই অন্তত দুই শতাধিক আসনে প্রার্থী তালিকা চূড়ান্ত করা হবে। বাকি আসনগুলোতে সম্ভাব্য প্রার্থীদের নিয়ে কাজ চলবে নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার আগ পর্যন্ত।
বিএনপির নীতিনির্ধারণী পর্যায়ের নেতারা জানিয়েছেন, এবার প্রার্থী মনোনয়নে কিছু নতুন মানদণ্ড অনুসরণ করা হবে। জনপ্রিয়তা, সততা, জনসম্পৃক্ততা এবং আন্দোলন-সংগ্রামে সক্রিয় ভূমিকা রাখা নেতাদের অগ্রাধিকার দেওয়া হবে। এ ছাড়া তরুণ ও উচ্চশিক্ষিত প্রার্থীদের মনোনয়ন দেওয়ার পরিকল্পনাও রয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, শতাধিক আসনে তরুণ ও সাবেক ছাত্রনেতারা ধানের শীষের প্রার্থী হতে পারেন।
দীর্ঘ ১৭ বছর পর জনগণ ভোটকেন্দ্রে গিয়ে ভোট দিতে পারবেন—এই প্রত্যাশায় বিএনপির সম্ভাব্য প্রার্থীরা তৃণমূলে গণসংযোগ জোরদার করেছেন। তারা স্থানীয় সমস্যা তুলে ধরার পাশাপাশি সমাধানের পরিকল্পনাও জানাচ্ছেন ভোটারদের কাছে।
ঢাকা-৪ আসনে প্রচারণা চালাচ্ছেন মহানগর দক্ষিণ বিএনপির সদস্য সচিব তানভীর আহমেদ রবিন। অন্যদিকে সুনামগঞ্জ-১ আসনে মাঠে নেমেছেন যুবদলের সহসাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবুর রহমান সরকার। গাজীপুর-৪ আসনে প্রার্থী হতে চান মেজর (অব.) মোহাম্মদ শফিউল্লাহ, আর সিরাজগঞ্জ-২ আসনে প্রার্থী হচ্ছেন জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা মোস্তফা জামান।
সম্প্রতি সিরাজগঞ্জ, পাবনা, জামালপুর, ব্রাহ্মণবাড়িয়া ও গাইবান্ধার সম্ভাব্য প্রার্থীদের সঙ্গে সাক্ষাৎকার নিয়েছেন স্থায়ী কমিটির সদস্য আব্দুল মঈন খান ও নজরুল ইসলাম খান। প্রার্থীদের এলাকায় গণসংযোগ চালানোর নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে এবং জোর দেওয়া হয়েছে ঐক্যবদ্ধ প্রচারণার ওপর।
দলীয় সূত্রে জানা গেছে, অন্তত ৫০ আসন ছাড় দেওয়া হতে পারে আন্দোলনের মিত্র রাজনৈতিক দলগুলোকে। প্রায় ১৫০ আসনে প্রার্থিতা নিয়ে কোনো জটিলতা নেই। বাকিগুলো নিয়ে জরিপ ও সাংগঠনিক রিপোর্টের ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত নেওয়া হচ্ছে।
দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে প্রার্থী চূড়ান্ত করার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। এ বিষয়ে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন বলেন, “জনপ্রিয় প্রার্থীদেরই বিএনপি থেকে মনোনয়ন দেওয়া হবে। জরিপের ভিত্তিতে দ্রুত চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।”