ডেস্ক রিপোর্ট | সকলের কণ্ঠ
রাজধানীর তুরাগ থেকে নিখোঁজের ১০৪ ঘণ্টা পর অবশেষে উদ্ধার হয়েছেন জুলাই আন্দোলনের সক্রিয় কর্মী ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক মাওলানা মামুনুর রশীদ। শুক্রবার (২৬ সেপ্টেম্বর) জুমার নামাজের পর পূর্বাচল শেখ হাসিনা স্টেডিয়ামের পাশে নির্জন এলাকা থেকে তাকে অচেতন অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। বর্তমানে তিনি উত্তরার চীন-বাংলাদেশ মৈত্রী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
চিকিৎসাধীন অবস্থায় নিজের অভিজ্ঞতার বর্ণনা দিতে গিয়ে মামুন জানান, প্রতিদিনের মতো ফজরের নামাজ শেষে তিনি হাঁটতে বের হয়েছিলেন। পথে তিনজন অচেনা ব্যক্তি তাকে কাঁচাবাজারে নিয়ে যাওয়ার জন্য অনুরোধ করে। প্রথমে দ্বিধাগ্রস্ত হলেও পরে তাদের কথার প্রভাবে তিনি যেতে রাজি হন।
মামুন বলেন,
“কামারপাড়া স্ট্যান্ড পার হওয়ার পর রিকশা থেকে নামানো হয় আমাকে। কাঁচাবাজারের সামনে হঠাৎ একটি হাইস (মাইক্রোবাস) এসে দাঁড়ায়। বাহিরে থাকা তিনজন জোর করে আমাকে ভেতরে তোলে। সেখানে সাব্বির নামে এক ব্যক্তির ছবি দেখিয়ে পরিচয় নিশ্চিত করার চেষ্টা করে তারা। আমি ‘চিনি’ বলার পরই জ্ঞান হারিয়ে ফেলি। সম্ভবত চেতনা নাশক কিছু ব্যবহার করা হয়েছিল।”
তিনি আরও জানান, পুরো সময়টায় তাকে একটি চেয়ারেই বসিয়ে রাখা হয়েছিল। কখন ঘুমিয়েছেন কিংবা কীভাবে সময় কেটেছে, তা তিনি মনে করতে পারেননি। শুক্রবার দুপুরে মুখে পানি ছিটিয়ে তাকে পূর্বাচলের একটি মসজিদের কাছে ফেলে রাখা হয়। সেখান থেকে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে পুলিশে খবর দেয়।
উল্লেখ্য, গত ২২ সেপ্টেম্বর ভোরে রাজধানীর তুরাগের হানিফ আলী মোড় এলাকার বাসা থেকে বের হয়ে নিখোঁজ হন মাওলানা মামুন। এ ঘটনায় তার স্ত্রী খাদিজা বেগম তুরাগ থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছিলেন।
মাওলানা মামুন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের তুরাগ থানা কমিটির সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক ছিলেন। জুলাই মাসের গণ-অভ্যুত্থানে তিনি উত্তরার রাজপথে সক্রিয় ভূমিকা পালন করেন।