বৈশ্বিক বাণিজ্য চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সংস্কারের প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর
ডেস্ক রিপোর্ট | সকলের কণ্ঠ
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, বাংলাদেশ যাতে স্বল্পোন্নত দেশ (এলডিসি) থেকে উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণের পথে কোনো প্রতিবন্ধকতার মুখে না পড়ে, সে জন্য বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার (ডব্লিউটিও) পূর্ণ সমর্থন প্রয়োজন।
মঙ্গলবার নিউইয়র্কে জাতিসংঘ সদর দপ্তরে অনুষ্ঠিত ৮০তম সাধারণ পরিষদের অধিবেশনের ফাঁকে ডব্লিউটিও মহাপরিচালক ড. ন্গোজি অকোনজো-ইওয়েলার সঙ্গে বৈঠকে তিনি এ কথা বলেন।
প্রধান উপদেষ্টা ইউনূস বলেন, “এলডিসি থেকে উত্তরণের পর অনেক দেশ বাণিজ্য সুবিধা হারানোর কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বাংলাদেশ যেন একই সমস্যায় না পড়ে, সে জন্য ডব্লিউটিওর কার্যকর উদ্যোগ জরুরি।”
তিনি আসন্ন মন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠকে এ বিষয়ে অর্থবহ সিদ্ধান্ত গ্রহণের আহ্বান জানান।
ড. অকোনজো-ইওয়েলা বাংলাদেশের প্রতি পূর্ণ সহযোগিতার আশ্বাস দেন। তিনি বলেন, “বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থাকে অবশ্যই সংস্কার করতে হবে। আমি আপনার সক্রিয় অংশগ্রহণ চাই এবং আপনার নেতৃত্ব প্রত্যাশা করছি।”
তিনি আরও জানান, বিশ্বায়ন থেকে পশ্চাদপসরণের শঙ্কা বাড়লেও বৈশ্বিক বাণিজ্য এখনো স্থিতিশীল রয়েছে। বিশ্বের প্রায় ৭৫ শতাংশ বাণিজ্য বর্তমানে ডব্লিউটিওর নিয়ম অনুযায়ী পরিচালিত হচ্ছে।
অধ্যাপক ইউনূসও বৈশ্বিক বাণিজ্যের দ্রুত পরিবর্তনশীল পরিবেশে ডব্লিউটিওকে আরও সক্রিয় হওয়ার আহ্বান জানান। তার ভাষ্য, “এখন সময় চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করার। অর্থবহ পরিবর্তনের পক্ষে বাংলাদেশ জোরালো ভূমিকা রাখতে প্রস্তুত।”
বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন জ্বালানি উপদেষ্টা ফাওজুল কবির খান, প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ দূত লুৎফে সিদ্দিকী এবং এসডিজি বিষয়ক মূখ্য সমন্বয়ক লামিয়া মোরশেদ।
বাংলাদেশ ২০২৬ সালের শেষ দিকে আনুষ্ঠানিকভাবে এলডিসি থেকে উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণের পথে রয়েছে। তবে উত্তরণের পর বাণিজ্য সুবিধা হারানো নিয়ে বিশেষজ্ঞ মহলে উদ্বেগ দেখা দিয়েছে।