গত ১৮ জুলাই কোটা সংস্কার আন্দোলনে গুলিবিদ্ধ হয়ে প্রাণ হারান মিলিটারি ইনস্টিটিউট অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজির (এমআইএসটি) শিক্ষার্থী শাইখ আসহাবুল ইয়ামিন। পুলিশের সাঁজোয়া যানের ওপর থেকে তাঁকে ফেলে দেওয়ার দৃশ্য নেট দুনিয়ায় ভাইরাল হলে দেশজুড়ে তীব্র আলোচনা-সমালোচনার ঝড় ওঠে।
ইয়ামিনের স্মৃতিকে সম্মান জানাতে ১৮ আগস্ট সকালে এমআইএসটি কর্তৃপক্ষ ব্যতিক্রমী একটি উদ্যোগ নেয়। সকাল ৯টায় ওসমানী হলের ৬১৯ নম্বর কক্ষে, যেখানে এপ্রিল থেকে ইয়ামিন থাকতেন, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের একটি দল আসে। তাঁর স্মৃতিতে জাতীয় পতাকা ও পুষ্পস্তবক অর্পণ করে তারা শ্রদ্ধা নিবেদন করে। ইয়ামিনের ব্যবহৃত জিনিসপত্র দেখে ও রুমমেটদের কাছ থেকে তাঁর সম্পর্কে জানে।
ইয়ামিনের রুমমেট শাহিনুর রহমান চৌধুরী বলেন, “কমান্ড্যান্ট স্যার নিজেও তখন আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েছিলেন। ইয়ামিনের আত্মত্যাগের স্মরণে সামনের দিনগুলোয় কী কী করা যেতে পারে, তা নিয়ে তিনি আলোচনা করেন। ঘরে একটি শোক বই রেখে যান, সেখানে ইয়ামিনকে নিয়ে লিখেছেন তিনি। আমরা প্রস্তাব দিয়েছি, এ বছর ইয়ামিনের সিট যেন কাউকে না দেওয়া হয়। কর্তৃপক্ষ এ প্রস্তাবে রাজি হয়েছে।”
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সময় এমআইএসটির আরেক প্রাক্তন শিক্ষার্থী, যন্ত্রকৌশল বিভাগের রাকিব হাসান, নিহত হন। তাঁদের স্মরণে ১৮ আগস্ট সকাল সাড়ে ৯টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের মেইন প্লাজায় আরেকটি অনুষ্ঠান হয়, যেখানে তাঁদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করে দোয়া করা হয়।