ডেস্ক রিপোর্ট | সকলের কণ্ঠ
চট্টগ্রামে বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন বলেছেন, সঠিক রাজনৈতিক নেতৃত্ব ও পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করা গেলে মাত্র পাঁচ বছরের মধ্যে বাংলাদেশকে সোনার খনিতে রূপান্তর করা সম্ভব। দেশের জনশক্তিকে কাজে লাগিয়ে কাঁচামালের ঘাটতি পূরণে জ্ঞানার্জন ও প্রযুক্তি ব্যবহার করতে পারলে অর্থনৈতিক অগ্রগতি নিশ্চিত করা যাবে।
শুক্রবার রাতে চট্টগ্রামের হোটেল রেডিসন ব্লু-এর হলরুমে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবসা গবেষণা ব্যুরোর উদ্যোগে আয়োজিত দুই দিনব্যাপী আন্তর্জাতিক সম্মেলন ‘ব্যবসার ভবিষ্যৎ: উদ্ভাবন, প্রযুক্তি ও টেকসই উন্নয়ন’-এর সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইয়াহ্ইয়া আখতার। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন উপ-উপাচার্য (একাডেমিক) অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ শামীম উদ্দিন খান, উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. মো. কামাল উদ্দিন, ব্যবসায় প্রশাসন অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো. তৈয়ব চৌধুরী, বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের সদস্য প্রফেসর মোহাম্মদ আইয়ুব ইসলাম এবং সোনালী ব্যাংক পিএলসির চেয়ারম্যান মুসলিম চৌধুরী।
শেখ বশিরউদ্দীন বলেন, “লেবার প্রডাক্টিভিটি, ইউটিলিটি প্রোপরশন, লজিস্টিক এক্সিলেন্স, কস্ট টু ফিন্যান্স, একসেস টু ফিন্যান্স এবং একসেস টু মার্কেট নিশ্চিত করতে পারলে কাঁচামালের অভাব পূরণ করা সম্ভব। এতে দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের পথ প্রশস্ত হবে।”
তিনি আরও বলেন, “৫ আগস্টের পর বাজারকে সঠিক পথে পরিচালনা করা ছিল একটি বড় চ্যালেঞ্জ। সিন্ডিকেটের বহু সদস্য দেশ ছেড়ে পালিয়ে যায়। সাপ্লাই সাইড ঠিক রাখা তখন খুবই জটিল হয়ে পড়ে। তবে সরকারের সর্বাত্মক প্রচেষ্টায় বাজার নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব হয়েছে।”
বাণিজ্য উপদেষ্টা জানান, শেখ হাসিনার পতনের পর বিভিন্ন দেশ ও প্রতিষ্ঠানের কাছে বাংলাদেশের ৬ বিলিয়ন ডলার দায় ছিল। ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে সব দায় পরিশোধ করা হয়েছে। বর্তমানে দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ দাঁড়িয়েছে ৩০ বিলিয়ন ডলার।