বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, গণঅভ্যুত্থানের চেতনা ও লক্ষ্য সুসংহত করতে হলে বিতাড়িত গণবিরোধী শক্তিকে আইনের আওতায় আনার পাশাপাশি জনগণের রাজনৈতিক এবং অর্থনৈতিক ক্ষমতায়ন নিশ্চিত করা জরুরি। জনগণের রাজনৈতিক ক্ষমতায়নের প্রধান হাতিয়ার হচ্ছে প্রতিটি নাগরিকের ভোট প্রয়োগের অধিকার নিশ্চিত করা।
মঙ্গলবার (২০ আগস্ট) তারেক রহমান তার নিজস্ব ফেসবুক পেজে এক ভিডিও বার্তায় এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, “গণহত্যাকারী হাসিনার পলায়নের মধ্য দিয়ে ১৫ বছরের ফ্যাসিবাদী শাসন অবসানের পথ উন্মুক্ত হয়েছে। এখন দেশে জবাবদিহিতামূলক গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার সময়। দেশে গণতন্ত্র, মানবাধিকার এবং ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য গত ১৫ বছর ধরে গণতন্ত্রকামী মানুষ আন্দোলন-সংগ্রাম অব্যাহত রেখেছে।”
তারেক রহমান আরও বলেন, “ফ্যাসিবাদী শাসনের অবসান ঘটিয়ে রাষ্ট্র এবং রাজনীতির গুণগত পরিবর্তন করতে হলে জনগণের রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক ক্ষমতায়ন নিশ্চিত করা জরুরি। জনগণের ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠার মাধ্যমেই গণতান্ত্রিক বিধি ব্যবস্থাকে টেকসই করা সম্ভব।”
তিনি অভিযোগ করেন যে, দেশকে অস্থিতিশীল করার জন্য বিতাড়িত অপশক্তি ষড়যন্ত্র অব্যাহত রেখেছে। এই মুহূর্তে ছাত্র-জনতার ঐতিহাসিক গণঅভ্যুত্থানের চেতনা ও লক্ষ্য সুসংহত করাই প্রধান অগ্রাধিকার হওয়া উচিত বলে তিনি মনে করেন।
ভিডিও বার্তায় তিনি গণমাধ্যমের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, “হাসিনা সংবাদপত্রের স্বাধীনতা হরণ করেছে। তার পালানোর বিষয়টি নির্ভয়ে প্রচার করুন। জনগণ দেখতে চায় গণমাধ্যমে হাসিনার অপকর্মের চিত্র প্রতিদিন তুলে ধরা হচ্ছে।”
তারেক রহমান আরও বলেন, “ক্ষমতার পরিবর্তন মানে শুধুই রাষ্ট্রক্ষমতার হাত বদল নয়; এটি রাষ্ট্র ও রাজনীতির গুণগত পরিবর্তনের দিকেও ইঙ্গিত করে।” তিনি দেশকে একটি বৈষম্যহীন গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র হিসেবে গড়ে তোলার আহ্বান জানান।