সাদিক কায়েম-ফরহাদ-মহিউদ্দীনের কান্না, দ্রুত সুস্থতা কামনা
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনে নবনির্বাচিত শিবির-সমর্থিত প্যানেলের সভাপতি সাদিক কায়েম ও অন্যান্য সদস্যরা বৃহস্পতিবার (১১ সেপ্টেম্বর) হাসপাতালে যান গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি ও ডাকসুর সাবেক সহ-সভাপতি (ভিপি) নুরুল হক নুরকে দেখতে।
হাসপাতালে নুরের শয্যাপাশে দাঁড়িয়ে তার সুস্থতার জন্য দোয়া করতে গিয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন তারা। নুরের জন্য প্রার্থনা করতে গিয়ে আবেগে আপ্লুত হয়ে পড়েন নবনির্বাচিত ভিপি সাদিক কায়েম, সাধারণ সম্পাদক এস এম ফরহাদ, সহ-সাধারণ সম্পাদক মহিউদ্দীনসহ উপস্থিত নেতারা।
শিবির-সমর্থিত নতুন নেতৃত্বের পক্ষ থেকে নুরের প্রতি সহমর্মিতা জানানো রাজনৈতিক অঙ্গনে আলোচনার জন্ম দিয়েছে। তারা শুধু দ্রুত সুস্থতা কামনাই করেননি, বরং নুরের গণতান্ত্রিক সংগ্রামের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে হাসপাতালের বাইরে সংক্ষিপ্ত বক্তব্যও দেন।
এর আগে ডাকসু ও হল সংসদ নির্বাচনে বিজয়ী ও অংশগ্রহণকারী সব শিক্ষার্থীকে শুভেচ্ছা জানিয়ে একটি বিবৃতি দিয়েছিলেন নুরুল হক নুর। বুধবার (১০ সেপ্টেম্বর) পাঠানো সেই বিবৃতিতে তিনি বলেন—
“অত্যন্ত ধৈর্য, কৌশল ও দক্ষতার সঙ্গে প্রতিকূল পরিস্থিতি মোকাবিলা করে একটি প্রাণবন্ত ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন আয়োজন করায় আমি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে ধন্যবাদ জানাই।”
গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খান জানিয়েছেন, আগামী চার থেকে পাঁচ দিনের মধ্যেই নুরুল হক নুরকে উন্নত চিকিৎসার জন্য সিঙ্গাপুর নেওয়া হবে। বর্তমানে চিকিৎসকরা তার শারীরিক অবস্থার নিবিড় পর্যবেক্ষণে রয়েছেন।
ডাকসু নির্বাচনের পরপরই নবনির্বাচিত নেতৃত্বের এভাবে নুরুল হক নুরকে দেখতে হাসপাতালে ছুটে যাওয়া শিক্ষাঙ্গনের রাজনীতিতে এক বিরল দৃশ্য হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। যেখানে ভিন্ন মত ও রাজনৈতিক মতাদর্শের প্রতিদ্বন্দ্বীরা প্রতিপক্ষের অসুস্থতায় সহমর্মিতা প্রকাশ করছে, সেটিকে অনেকে ইতিবাচক রাজনৈতিক সংস্কৃতির প্রতীক হিসেবে দেখছেন।