ডেস্ক রিপোর্ট | সকলের কণ্ঠ
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) দীর্ঘ ৩৩ বছরের প্রতীক্ষার অবসান ঘটিয়ে শুরু হলো কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ (জাকসু) নির্বাচন। বৃহস্পতিবার (১১ সেপ্টেম্বর) সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত টানা ভোটগ্রহণ চলছে।
বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়, নির্বাচনের সব ধরনের প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে। নিরাপত্তা নিশ্চিতে বুধবার সন্ধ্যা থেকে ক্যাম্পাসে টহল দিচ্ছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। তবে ক্যাম্পাসে সাবেক ছাত্রদল নেতাদের উপস্থিতি শিক্ষার্থীদের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া তৈরি করেছে।
আবাসিক বিশ্ববিদ্যালয় হওয়ায় মোট ২১টি হলে ভোটকেন্দ্র স্থাপন করা হয়েছে। এর মধ্যে ১১টি কেন্দ্রে ভোট দেবেন ছাত্ররা এবং ১০টি কেন্দ্রে ছাত্রীদের ভোটগ্রহণ করা হচ্ছে। মোট ২২৪ বুথে শিক্ষার্থীরা তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করছেন।
তবে এখনও অনেক মেয়াদোত্তীর্ণ শিক্ষার্থী হলে অবস্থান করায় নিরাপত্তা নিয়ে কিছুটা শঙ্কা প্রকাশ করেছেন সাধারণ শিক্ষার্থী ও প্রার্থীরা।
এবারের জাকসু নির্বাচনে মোট ভোটার সংখ্যা ১১ হাজার ৮৯৭ জন। এর মধ্যে ছাত্র ৬ হাজার ১১৫ জন এবং ছাত্রী ৫ হাজার ৭২৮ জন।
ছাত্রদের ১১ হলের ভোটার সংখ্যা:
আল বেরুনী হল – ২১০ জন
আ ফ ম কামালউদ্দিন হল – ৩৩৩ জন
মীর মশাররফ হোসেন হল – ৪৬৪ জন
শহীদ সালাম-বরকত হল – ২৯৮ জন
মওলানা ভাসানী হল – ৫১৪ জন
১০ নম্বর ছাত্র হল – ৫২২ জন
শহীদ রফিক-জব্বার হল – ৬৫০ জন
বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর হল – ৩৫০ জন
২১ নম্বর ছাত্র হল – ৭৩৫ জন
জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম হল – ৯৯২ জন
তাজউদ্দীন আহমদ হল – ৯৪৭ জন
ছাত্রীদের ১০ হলের ভোটার সংখ্যা:
নওয়াব ফয়জুন্নেসা হল – ২৭৯ জন
জাহানারা ইমাম হল – ৩৬৭ জন
প্রীতিলতা হল – ৩৯৬ জন
বেগম খালেদা জিয়া হল – ৪০৩ জন
সুফিয়া কামাল হল – ৪৫৬ জন
১৩ নম্বর ছাত্রী হল – ৫১৯ জন
১৫ নম্বর ছাত্রী হল – ৫৭১ জন
রোকেয়া হল – ৯৫৬ জন
ফজিলাতুন্নেছা হল – ৭৯৮ জন
তারামন বিবি হল – ৯৮৩ জন
প্রতিদ্বন্দ্বিতা ও দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা
জাকসুর কেন্দ্রীয় সংসদের ২৫টি পদে এবার প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ১৭৭ জন প্রার্থী। নির্বাচনে অংশ নিচ্ছে মোট ৮টি প্যানেল—বামপন্থি, ছাত্রশিবির, ছাত্রদল ও স্বতন্ত্র প্রার্থীদের সমর্থিত।
ভোটগ্রহণ কার্যক্রম পরিচালনায় দায়িত্ব পালন করছেন ৬৭ জন শিক্ষক পোলিং অফিসার এবং সমসংখ্যক প্রশাসনিক কর্মকর্তা সহকারী পোলিং অফিসার হিসেবে। ভোট শেষে সিনেট হলে গণনা করা হবে।
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা বলছেন, ৩৩ বছর পর জাকসু নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ায় তাদের দীর্ঘদিনের দাবি পূরণ হলো। তারা আশা করছেন, গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে নির্বাচিত সংসদ শিক্ষার্থীদের অধিকার রক্ষায় কার্যকর ভূমিকা রাখবে।