ডেস্ক রিপোর্ট | সকলের কণ্ঠ
চলতি সপ্তাহের শেষ দিকে দারুণ এক মহাজাগতিক দৃশ্যের সাক্ষী হতে যাচ্ছে পৃথিবীর মানুষ। আগামী ৭ সেপ্টেম্বর পূর্ব আকাশে উদিত হবে বিরাট পূর্ণিমার চাঁদ—যা পরিচিত ‘কর্ন মুন’ নামে। ধীরে ধীরে এ চাঁদ রূপ নেবে ‘ব্লাড মুন’ বা রক্তাভ চাঁদে। একইসাথে খালি চোখে দেখা যাবে শনিগ্রহ, যা রাতের আকাশকে করে তুলবে আরও মনোমুগ্ধকর।
ঐতিহাসিকভাবে প্রতিটি পূর্ণিমাকে মানুষ প্রকৃতির বড় পরিবর্তন বা মৌসুমি ঘটনার প্রতীক হিসেবে দেখে এসেছে। সেপ্টেম্বর মাস উত্তর আমেরিকায় ঐতিহ্যগতভাবে ভুট্টা কাটার সময় হওয়ায় এ সময়ের পূর্ণিমাকে বলা হয় ‘কর্ন মুন’। আবার বিষুবের নিকটবর্তী পূর্ণিমাকে বলা হয় ‘হারভেস্ট মুন’। তবে জ্যোতির্বিদরা জানিয়েছেন, চলতি বছরের হারভেস্ট মুন দেখা যাবে আগামী ৬ অক্টোবর। তাই এ বছরের কর্ন মুন হারভেস্ট মুন নয়।
বিবিসির স্কাই অ্যাট নাইট ম্যাগাজিন-এর প্রতিবেদন অনুযায়ী, ৭ সেপ্টেম্বর ইউরোপ, আফ্রিকা, এশিয়া ও অস্ট্রেলিয়ার কিছু অঞ্চলে পূর্ণগ্রাস চন্দ্রগ্রহণও দেখা যাবে। চন্দ্রগ্রহণ ঘটে যখন পৃথিবী সূর্য ও চাঁদের মাঝখানে অবস্থান করে। এ সময় পৃথিবীর বায়ুমণ্ডল সূর্যের আলোকে প্রতিসরিত ও বিক্ষিপ্ত করে চাঁদের উপর ফেলে, ফলে চাঁদ লালচে বা রক্তাভ রূপ ধারণ করে।
এদিন শুধু রক্তাভ চাঁদ নয়, শনিগ্রহও দেখা যাবে চাঁদের খুব কাছাকাছি। খালি চোখে এটি উজ্জ্বল আলোর বিন্দুর মতো মনে হলেও টেলিস্কোপ ব্যবহার করলে শনির বিখ্যাত বলয়ও দেখা সম্ভব হবে। জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা বলছেন, পূর্ণিমা, পূর্ণগ্রাস চন্দ্রগ্রহণ এবং শনিকে একইসাথে আকাশে দেখা—জ্যোতির্বিজ্ঞানপ্রেমীদের জন্য এক বিশেষ মুহূর্ত।
৬ থেকে ৮ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যা পর্যন্ত আকাশের একই অংশে একসাথে দেখা যাবে কর্ন মুন ও শনিকে। ফলে এই তিন দিনের আকাশেই থাকবে মহাজাগতিক সৌন্দর্যের এক অপূর্ব সমাহার।