ডেস্ক রিপোর্ট | সকলের কণ্ঠ
বাংলাদেশে অনুপ্রবেশের জন্য নাফ নদীর পূর্ব তীরের ফেরানফ্রু গ্রামে অন্তত ৩০০ রোহিঙ্গা অপেক্ষা করছে। নির্ভরযোগ্য সূত্রে জানা গেছে, আজ বুধবার (৩ আগস্ট) রাতেই তারা বাংলাদেশে প্রবেশের পরিকল্পনা করেছে।
সূত্র বলছে, মিয়ানমারের বুথিডং শহর থেকে দুই গ্রুপে বিভক্ত হয়ে ৪১ জন রোহিঙ্গা ইতোমধ্যে নাফ নদীর পূর্ব তীরে পৌঁছেছে। বর্তমানে তারা ফেরানফ্রু গ্রামের চারটি ঘরে অবস্থান করছে। এর আগে গতকাল (মঙ্গলবার) প্রায় ২০০ রোহিঙ্গা একই স্থানে জড়ো হয়েছিল।
তথ্য অনুযায়ী, রোহিঙ্গাদের অনুপ্রবেশের দুটি সম্ভাব্য রুট চিহ্নিত করা হয়েছে—
- প্রথম রুট: ফেরানফ্রু হয়ে রোয়াইঙ্গাধং পথ ধরে জালিয়ার দ্বীপের উত্তরে বিপি–৮ হ্নীলা রোয়াইঙ্গা খালি পয়েন্ট দিয়ে প্রবেশ। এখানে আরাকান আর্মির মদদপুষ্ট স্থানীয় রোহিঙ্গা দালাল এবং বাংলাদেশের স্থানীয় দালালরা সক্রিয় ভূমিকা রাখছে।
- দ্বিতীয় রুট: ফেরানফ্রু হয়ে জালিয়ার দ্বীপের দক্ষিণ দিকে বিপি–০৩ শাহপরীর দ্বীপ এলাকা দিয়ে প্রবেশের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।
নির্ভরযোগ্য সূত্রে জানা গেছে, আরাকান আর্মি রোহিঙ্গাদের বাংলাদেশে প্রবেশে বাধা না দিয়ে বরং সহযোগিতা করছে। যারা বাংলাদেশে যেতে চায়, তাদের কাছ থেকে মাথাপিছু ২০ হাজার কিয়াত ‘ট্যাক্স’ আদায় করা হচ্ছে। সাধারণত রাত ৮টা থেকে ৯টার মধ্যে তারা নৌকায় করে মিয়ানমার থেকে নাফ নদীতে এসে নোঙর ফেলে। ভোরে পরিস্থিতি অনুকূল মনে হলে বাংলাদেশে প্রবেশ করে এবং স্থানীয় বাঙালি দালালরা তাদের নিরাপদে গন্তব্যে পৌঁছে দেয়।