২০ আগস্ট ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গত ৫ আগস্ট বাংলাদেশ ত্যাগ করে ভারতে আশ্রয় নেন। সেদিন বাংলাদেশ এয়ারফোর্সের একটি বিশেষ বিমান দিল্লির নিকটস্থ গাজিয়াবাদের হিণ্ডন বিমানঘাঁটিতে অবতরণ করে। বিমানঘাঁটিতে শেখ হাসিনা ও তার বোন শেখ রেহানাকে স্বাগত জানান ভারতের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভাল। পরের দিন, ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর দেশের পার্লামেন্টে জানান, শেখ হাসিনা সাময়িকভাবে ভারতে অবস্থানের জন্য ভারত সরকারের অনুমতি চেয়েছিলেন, যা মঞ্জুরও করা হয়।
বর্তমানে শেখ হাসিনা দিল্লির উপকণ্ঠে একটি আধাসামরিক বাহিনীর অতিথি নিবাস বা ‘সেফ হাউসে’ অবস্থান করছেন। তবে তাদের সঠিক অবস্থান সরকারিভাবে প্রকাশ করা হয়নি। শেখ হাসিনার ভারতে অবস্থানের ইমিগ্রেশন স্ট্যাটাস এখনও স্পষ্ট নয়। ভারতের পক্ষে সরকার এ বিষয়ে কোনো বক্তব্য দেয়নি। ফলে, প্রশ্ন উঠছে ভারতে তার অবস্থানের বৈধতা নিয়ে।
দিল্লির সরকারি সূত্র জানায়, শেখ হাসিনার ডিপ্লোম্যাটিক/অফিশিয়াল পাসপোর্ট এখনও বৈধ রয়েছে, যার সুবাদে তিনি ৪৫ দিন পর্যন্ত ভিসা ছাড়াই ভারতে অবস্থান করতে পারবেন। শেখ রেহানা যুক্তরাজ্যের পাসপোর্টধারী হওয়ায়, তিনি সাধারণ ভিসা অন অ্যারাইভালের মাধ্যমে ভারতে অবস্থান করছেন।
দিল্লির শীর্ষ কর্মকর্তা বিবিসি বাংলাকে জানান, শেখ হাসিনার ভারতে অবস্থানের ভিত্তি ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে স্বাক্ষরিত ‘সংশোধিত ট্র্যাভেল অ্যারেঞ্জমেন্ট’। ২০১৮ সালে ঢাকাতে শেখ হাসিনা ও নরেন্দ্র মোদী সরকারের মধ্যে এই সমঝোতা স্বাক্ষরিত হয়েছিল। এই সমঝোতা অনুযায়ী, উভয় দেশের ডিপ্লোম্যাটিক ও অফিশিয়াল পাসপোর্টধারীরা ৪৫ দিনের মেয়াদে ভিসা ছাড়াই পরস্পরের দেশে থাকতে পারবেন।
এখন পর্যন্ত শেখ হাসিনার পাসপোর্ট বাতিল হয়নি, ফলে তিনি আইনসম্মতভাবে ভারতে অবস্থান করছেন। তবে, যদি পাসপোর্ট বাতিল করা হয়, তাহলে ভারত সরকার বিকল্প ব্যবস্থা নিতে প্রস্তুত।