ডেস্ক রিপোর্ট │ সকলের কণ্ঠ
গাইবান্ধার সাঘাটা উপজেলায় ১৮ বছর বয়সী এক নববধূকে বিয়ের পরদিন সংঘবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় স্বামী আসিফ মিয়াসহ সাতজনকে আটক করে পুলিশ। তবে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ শেষে আদালত স্বামীকে কারাগারে পাঠালেও অন্যদের মুক্তি দিয়েছেন।
শনিবার (৩০ আগস্ট) বিকেলে আটক স্বামীকে গাইবান্ধা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়। আসামি আসিফ মিয়া সাঘাটা উপজেলার কামালেরপাড়া ইউনিয়নের ওসমানেরপাড়া গ্রামের আশাদুল ইসলামের ছেলে।
স্থানীয় সূত্র জানায়, গত বুধবার রাতে ২ লাখ ৩০ হাজার টাকা দেনমোহরে পারিবারিকভাবে বিয়ে হয় আসিফ মিয়া ও গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার কোচাশহর ইউনিয়নের ভাগগরীব গ্রামের নাজিম উদ্দিনের মেয়ের। বিয়ের পর নববধূকে নিয়ে স্বামী বাড়িতে ফেরেন।
পরদিন বৃহস্পতিবার রাতে আসিফ তার ছয় বন্ধুকে বাড়িতে নিয়ে আসে। সেসময় নববধূ সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। শুক্রবার দুপুরে বৌভাত অনুষ্ঠানের সময় স্বজনদের কাছে ঘটনা জানালে তাকে প্রথমে গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয় এবং পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়।
ঘটনার পর নির্যাতিতার ভাই বাদী হয়ে সাঘাটা থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলায় কয়েকজনের নাম উল্লেখ করা হলেও চার থেকে পাঁচজনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়।
গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ফাহাদ আল আসাদ জানান, “শুক্রবার দুপুরে এক নববিবাহিতা নারীকে হাসপাতালে আনা হয়। শারীরিক নির্যাতনের আলামত পাওয়া যাওয়ায় তাকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।”
সাঘাটা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) বাদশা আলম বলেন, “প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের জন্য স্বামী আসিফ মিয়াসহ সাতজনকে আটক করা হয়েছিল। তবে চেতনানাশক খাইয়ে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত না হওয়ায় আদালত শুধু স্বামীকে কারাগারে পাঠিয়েছে, অন্যদের ছেড়ে দিয়েছে। আদালত নির্দেশ দিয়েছেন— অধিকতর তদন্তের মাধ্যমে প্রকৃত দোষীদের খুঁজে বের করতে। তদন্তে প্রমাণ মিললে ছাড়া পাওয়া আসামিদেরও পুনরায় গ্রেপ্তার করা হবে।”